বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের পর এবার টলিউডেও বয়কটের ছাপ স্পষ্ট। রাজ চক্রবর্তীর (Raj Chakrabarty) পরিচালনায় তৈরি হওয়া ‘ধর্মযুদ্ধ’কে (Dharmajuddha) বয়কটের ডাক দেয় বেশ কয়েকটি সংগঠন। বলিউড থেকে টলিউড, সমস্ত জায়গাতেই হিন্দুফোবিক সিনেমা তৈরি করে কিছু বিশেষ সম্প্রদায়কে তুষ্টিকরণে নেমেছেন সিনেমা নির্মাতারা এই অভিযোগ করে তাঁরা।
অভিযোগ উঠেছে যে, সিনেমায় নাকি ভগবত গীতার শ্লোক পড়ে মানুষের গলা কাটা দেখানো হয়েছে। এরপর পরিচালক রাজ চক্রবর্তী সাথে সাথে অহংকারের সাথে বয়কটিদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। পাগল ছাগল বলতেও বাকি রাখেননি তাদের। কিন্তু তার সেই ক্ল্যারিফিকেশন কাজে আসেনি। বরঞ্চ বয়কটের ছাপ পরিস্কার বক্স অফিসের কালেকশনে দেখা গিয়েছে।
মুক্তির প্রথম সপ্তাহে সিনেমাটির রোজগার মোটে ২০ লক্ষ টাকা। বয়কটের ডাক উঠতেই মুখে গর্জে উঠলেও, ভিতরে ভিতরে যে কেঁপে উঠছেন সেটা তাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। রাজ পড়ে বলেন যে, গলা কাটা তো দূরের কথা, এক ফোটা রক্তপাতও দেখানো হয় নি সিনেমাতে।
বয়কটের সামনে পড়ে খড়কুটোর মত উড়ে গিয়েছে লাল সিং চাড্ডা। তার চেয়েও খারাপ অবস্থা হয়েছে রাজের ধর্মযুদ্ধের। শুধু তাই না, টলিউডের আরেক ছবি ‘বিসমিল্লাহ’কেও বয়কট করার ডাক উঠেছে। ছবির অভিনেতা অভিনেত্রীরাও সাধারণ দর্শকদের রাগের প্রকোপ থেকে বাদ যাননি। সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট সেকশন ভরে উঠেছে মন্তব্যে। একজন তো লিখেই দিয়েছেন,, ‘নিজের পকেটের টাকা খসিয়ে ‘বিসমিল্লা’ আর ‘ধর্মযুদ্ধ’ – মুভি দেখার কোনো ইচ্ছাই নাই। পকেটের পয়সা খরচ করে নিজের মাথায় গোঁজা ভরে মাথাটাকে আস্ত একটা ডাস্টবিনে পরিণত করতে কে চায়?
সেখানেই শেষ নয়, অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন গীতা হতে কে কবে খুন করেছে? তিনি লিখেছেন,“ পশ্চিমবঙ্গে দাঙ্গা হাঙ্গামা হয়নি এমন নয়, কিন্তু ‘গীতার শ্লোক আওড়ে কেউ বৃদ্ধ নারীর গলায় ছুড়ি বসাচ্ছে’ এই অভিযোগ কোনোদিন কোনো অন্য ধর্মের মানুষও করে নি, করবেও না। গোটা ভারতে এমন দৃষ্টান্ত পাবেন না। এসব দেখিয়ে কাদেরকে ছোট করতে চাইছেন?”
কমেন্ট সেকশনে দর্শকরা প্রশ্ন করেছেন, রাজ্যের এক বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য তুষ্টিকরনের মুভি না বানিয়ে ভালো কনটেন্ট বানালেই তো হয়। কিন্তু স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, একের পর এক সিনেমায় অপমান এবং লাঞ্ছন করা হচ্ছে হিন্দু ধর্মের। তাই জনগণের দাবী কষ্টার্জিত টাকা এরকম সিনেমা দেখে নষ্ট করবেন না তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।