আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাদাখ সীমান্তে ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর থেকেই দেশে চীনের পণ্য বয়কটের ডাক উঠেছিল৷ পরে চীনের হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারানোর পরে সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বয়কট চায়না এবং বয়কট চাইনিজ প্রোডাক্ট স্লোগানে দুটি হ্যাশট্যাগ তৈরি হয়েছে।
চীনা পণ্য বর্জন করে অর্থনৈতিকভাবে চীনকে শিক্ষা দেওয়ার সংকল্প থেকেই ভারতীয়রা এই স্লোগানগুলো প্রচার করে আসছিল।
অন্যদিকে ভারতীয়দের মধ্যে চীন বিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগাতে শুরু করেছে চীনের ব্যবসায়ীরা। চীনা পোশাক সংস্থাগুলো #বয়কটচায়না (#BoycottChina) স্লোগান ছাপা ক্যাপ এবং টি-শার্ট উৎপাদন শুরু করেছে। এই পণ্যগুলো ই-কমার্স অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মাধ্যমে ভারতীয়দের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
মেড ইন চায়না (চীনে প্রস্তুতকৃত) ট্যাগসহ এই পণ্যগুলোর ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোতে ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত, চীনা পণ্য বর্জন করা হলে ভারতীয় অর্থনীতিতে বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে চীন যদি ভারতীয় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বা নিষেধাজ্ঞার চাপ প্রয়োগ করে, তবে চীনকে প্রতিস্থাপনের জন্য ভারত কোনো নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য অংশীদার না পাওয়া পর্যন্ত এটি ভারতের অর্থনীতির পক্ষে ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াবে।
ভারত চীন থেকে ৭০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। ৬০ শতাংশ ইলেক্ট্রনিক পণ্য এবং ৬৭ শতাংশ ওষুধ চীন থেকে আমদানি করে ভারত। এছাড়া, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৬.৭ বিলিয়ন ডলার অর্থের রপ্তানি করার ফলে চীন ভারতের কাছে তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
কিন্তু চিনা পণ্য বয়কটের এই ডাক নিছকই হুজুগ কি না, ফের একবার সেই প্রশ্ন উঠল৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।