ভবন নির্মাণে পরিবেশের ক্ষতি হলে উচ্ছেদ করবে রাজউক

জুমবাংলা ডেস্ক : ভবন নির্মাণে জলাভূমি ভরাটসহ পরিবেশের কোনো ক্ষতি সাধিত হলে উচ্ছেদসহ বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে রাজউকের অঞ্চল-৫ ও অঞ্চল-৭ এর আওতাধীন এলাকায় অননুমোদিত আবাসিক এলাকাসমূহের পরিকল্পনা অনুমোদনপত্র এবং নকশা অনুমোদন বিষয়ক আবাসন প্রতিষ্ঠান ও মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ রক্ষা ও জলাভূমি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, প্রয়োজনে বড় জায়গা নিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংসহ ভূমিকম্পরোধী ১০০ তলা বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হবে, যেন পরিবেশের ক্ষতি করে ছোট ছোট ভবন নির্মাণের হার কমে যায় এবং জলাভূমি ভরাট না করে বিদ্যমান আবাসিক জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করা যায়। এতে করে পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।

তিনি বলেন, গত ৫ মাসে বিধিমালা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। আমরা হাইরাইজ বিল্ডিং নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিধিমালা অনুসরণ করে পরিবেশবিদ এবং নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সমন্বয় করে জলাশয় সংরক্ষণ করতে হবে। রাজউক তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এ ক্ষেত্রে। অনুমোদনহীন এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করাসহ প্রয়োজনীয় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, প্রয়োজনে বড় জায়গা নিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংসহ ভূমিকম্পরোধী ১০০ তলা বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হবে, যেন পরিবেশের ক্ষতি করে ছোট ছোট ভবন নির্মাণের হার কমে যায় এবং জলাভূমি ভরাট না করে বিদ্যমান আবাসিক জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করা যায়। এতে করে পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে।

তিনি বলেন, গত ৫ মাসে বিধিমালা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে। আমরা হাইরাইজ বিল্ডিং নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিধিমালা অনুসরণ করে পরিবেশবিদ এবং নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সমন্বয় করে জলাশয় সংরক্ষণ করতে হবে। রাজউক তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এ ক্ষেত্রে। অনুমোদনহীন এলাকায় গ্যাস, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করাসহ প্রয়োজনীয় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

সভায় প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ড্যাপ অনুযায়ী যেখানে অনুমোদনে বাধা আছে, তা অনুসরণ করতে হবে এবং সেখানে অনুমোদন দেওয়া যাবে না। অনুমোদনের জন্য আবাসিক এলাকার বা প্রতিষ্ঠানের ৭৫ শতাংশ নিজস্ব জমি থাকতে হবে এবং ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।

আবাসিক প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রতিনিধিরা নিজস্ব জমি থাকার শর্ত ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়ে সভায় রাজউক সদস্য (উন্নয়ন ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মো. হারুন অর রশীদ বলেন, এ ধরনের অনুমোদনহীন আবাসিক এলাকা উচ্ছেদে আমরা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পালন করতে বদ্ধপরিকর। সে অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে মধুমতি মডেল টাউন উচ্ছেদের জন্য রাজউক নির্দেশপ্রাপ্ত হয়েছে। আমরা এমন কিছু করব না যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ সময় রাজউক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ বলেন, ড্যাপের পরিবেশ সংক্রান্ত, ইমারতের অনুমোদন বিধিমালার চেকলিস্ট সাইনবোর্ড আকারে বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি ডেটাবেইজ তৈরি করতে হবে। সভায় রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছাড়াও আবাসন প্রতিষ্ঠান ও মালিক সমিতির প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।