ভবিষ্যৎ এ গুগলের জায়গা দখল করবে Chat GPT 3?

Chat GPT 3

ওপেন এআই প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা করে থাকে। তারা নভেম্বরের ২২ তারিখে চ্যাট জিপিটি নামে একটি চ্যাটবট মার্কেটে লঞ্চ করেছে। লঞ্চের পরপরই এটি নিয়ে প্রযুক্তির দুনিয়ায় অনেক আলোচনা হয়। চ্যাট জিপিটি এর রেসপন্স করার ধরন এবং জ্ঞানের বিভিন্ন ধারা থেকে উত্তর দেওয়ার প্রবণতা সবার প্রশংসা অর্জন করেছে।

Chat GPT 3

এটির যেমন অনেক দারুন ফিচার রয়েছে তেমনি কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। অনেকে দাবি করছে যে, ভবিষ্যতে হয়তো এ প্রযুক্তি গুগলের পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে। মানুষ গুগলের পরিবর্তে এ চ্যাট বটকে প্রাধান্য দিবে।

গুগল সার্চ করার ক্ষেত্রে যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা এটির মাধ্যমে দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যবহারকারীরা এটির সাথে তথ্য বিনিময়ের বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করেছে। ওপেন সোর্স প্রজেক্ট হিসেবে এটার যাত্রা শুরু হয়।

চ্যাট জিপিটি থ্রি প্রযুক্তিটি এমন কিছু কাজ করতে পারে যা গুগল এর দ্বারা সম্ভব নয়। চ্যাট জিপিটি থ্রি আপনার জন্য অনেক কিছু লিখে দিতে পারবে তবে তা শতভাগ পারফেক্ট নাও হতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করে এ প্রযুক্তিটি তৈরি করা হয়েছে এবং বর্তমানে ফ্রিতে তা ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। ’থেরাপি মোড’ ব্যবহার করলে আপনি ভয়েস কনভারসেশন ফিচারটি উপভোগ করতে পারবেন।

তবে এটির অন্যতম সীমাবদ্ধতা হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর আপনি অনেক তথ্য জানতে চাইলে তা গুগলেই ভালোভাবে পাওয়া সম্ভব। এই চ্যাট বট আপনাকে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবে না।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় গুগলের উইকিপিডিয়া পেজ তথ্যে সমৃদ্ধ। গুগলের নিজস্ব চ্যাট বট রয়েছে যা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উপর ভিত্তি করে নির্মিত। তবে তা পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে ভবিষ্যতে গুগল এর জায়গা চ্যাট জিপিটি থ্রি নিতে পারবে কিনা তা জানার জন্য আরো অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে।