চাঁদে বসতি স্থাপনের স্বপ্ন মানুষের বহুদিনের। মানুষের ভবিষ্যৎ গন্তব্য হিসেবেই চাঁদকে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ বিজ্ঞানীদের ভাবনা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে বাসযোগ্য থাকবে না পৃথিবী। তখন চাঁদে উপনিবেশ স্থাপন করতে পারে মানবজাতি।
কিন্তু ভয়ংকর এক সত্য সামনে এসেছে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে। এর ফলে চাঁদ নিয়ে বিজ্ঞানীদের যে সুচিন্তিত পরিকল্পনা ছিল সেখানে বড় এক প্রতিকূলতা সৃষ্টি হলো। নতুন গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ বড়সড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে।
এটির আকার উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট হয়ে যাচ্ছে। চাঁদের কেন্দ্র দিন দিন শীতল হয়ে যাবে। এর ফলে চন্দ্রের পৃষ্ঠে আরও বেশি ভাঁজ সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে সেখানে ভূকম্প এবং ভূমিধস বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য নতুন করে চাঁদে নবচারীরা কোথায় অবতরণ করবে তা নতুন করে ভাবতে হবে।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা এরকমটাই মনে করে। এতদিন ধারণা করা হচ্ছিল যাদের দক্ষিণ মেরুতে বরফ থাকতে পারে। ঐ অংশে বিশ্বের কয়েকটি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চন্দ্রাঅভিযানের পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু ওই অঞ্চল যতটা বাসযোগ্য মনে করা হচ্ছিল ততটা নয়।
চাঁদ তার মূল অংশ ধীরে ধীরে শীতল হওয়ার কারণে পরিধিতে ১৫০ ফুটের বেশি সংকুচিত হয়েছে ইতিমধ্যে। চাঁদের দক্ষিণ অংশের চারপাশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনে এসেছে। যাদের সংকচন একটি ভঙ্গুরপৃষ্ট তৈরি করেছে।
এর ফলে ভূত্বকের অংশ একে অপরকে ধাক্কা দেয়। এটি ভূমিকম্পের প্রবণতাকে বাড়িয়ে তোলে। এ গবেষণার মাধ্যমে কাউকে সতর্ক করা ও দক্ষিণ মেরুর ওই অংশের অনুসন্ধানকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে না।
তবে চন্দ্রপৃষ্ঠ একেবারে অনুকূল জায়গা নয়। সেখানে কিছুই ঘটছে না এরকম ভাবার কোন কারণ নেই। চীনের পক্ষ থেকে চাঁদে মানববসতি গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ অংশে নভোচারী পাঠানার পরিকল্পনা করছে নাসা এবং তা ২০২৬ সালে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।