ভয়ানক শাস্তি হিসাবে নায়িকাকে রাস্তায় উলঙ্গ করে হাঁটালেন মা!

বিনোদন ডেস্ক : শৈশবে মায়ের দেওয়া কঠোর শাস্তি সহ্য করতে পারতেন না অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না। মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বহু বছর জুড়ে তিক্ত ছিল বলেই জানা গেছে। আনন্দলোক পত্রিকার ১৯৯৭ সালের একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল সেই ভয়ানক শাস্তির কথা।

ভয়ানক শাসন! মা ডিম্পল কাপাডিয়ার সঙ্গে নাকি সেই কারণেই সম্পর্ক একেবারেই ভাল ছিল না অভিনেত্রী টুইঙ্গল খান্নার। অতীতে বহুবারই মায়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন টুইঙ্কল। এমনকি, মাকে ‘নিষ্ঠুর’ আখ্যাও দিয়েছিলেন তিনি। মায়ের শাসন করার পদ্ধতি নাকি সহ্য করতে পারতেন না টুইঙ্কল। ছোটবেলায় দুষ্টুমি করার কারণে মায়ের হাতে বেধড়ক মার খেতেন টুইঙ্কল। মেয়েকে উচিত শিক্ষা দিতে টুইঙ্কলকে উলঙ্গ করে সকলের সামনে হাঁটিয়েছিলেন ডিম্পল!

১৯৯৭ সালের আনন্দলোক পত্রিকায় তেমনই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিম্পলকে ‘নিষ্ঠুর’ আখ্যাও দিয়েছিলেন টুইঙ্কল। ছোটবেলার কথা বলতে-বলতে টুইঙ্কল ব্যক্ত করেছিলেন কিছু ঘটনার কথা। সেই সময় মাত্র ৪ বছর বয়স ছিল টুইঙ্কলের। এক ব্যক্তিকে গালিগালাজ করে কথা বলেছিলেন টুইঙ্কল। তা জানতে পেরে মেয়ের উপর ভয়ানক রাগ করেছিলেন ডিম্পল। মেজাজ হারিয়ে বেধড়ক মেরেছিলেন টুইঙ্কলকে। সেখানেই থেমে ছিল না বিষয়টা। টুইঙ্কলের প্যান্ট খুলে তাঁকে উলঙ্গ করে সকলের সামনে হাঁটতে বলেছিলেন ডিম্পল।

লজ্জার সীমা অতিক্রম করে করলেন গৃহবধূ, রিলিজ হলো উল্লুর নতুন ওয়েব সিরিজ!

প্রায় দু’দশক আগে মায়ের প্রতি জমে থাকা এই রাগ প্রকাশ করেছিলেন টুইঙ্কল। এখন অবশ্য মা-মেয়ের মধ্যে দূরত্বের ব্যবধান অনেকটা কমেছে। বয়স্ক মাকে নিয়ে আবেগঘন কথাও বলতে শোনা যায় টুইঙ্কলকে। এখন মা-মেয়ে একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যান। সময় কাটান একান্তে। শপিংয়েও যান। তবে শৈশবের ঘটনাগুলো অনেকদিন পর্যন্ত মনে রেখে দিয়েছিলেন টুইঙ্কল।

অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্নার শৈশবে মায়ের দেওয়া শাস্তি নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। আনন্দলোক পত্রিকার পুরনো প্রতিবেদন থেকেই জানা যায়, মা ডিম্পল কাপাডিয়া মেয়েকে শাসনের নামে কঠিন শাস্তি দিয়েছিলেন। সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্কের জট খুলেছে ঠিকই, তবে শাস্তির স্মৃতি দীর্ঘদিন ধরে টুইঙ্কলের মনে ছিল।

FAQ

১. টুইঙ্কল খান্নাকে কোন ধরনের শাস্তি দিয়েছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়া?
টুইঙ্কলকে বেধড়ক মারার পাশাপাশি উলঙ্গ করে সকলের সামনে হাঁটতে বলেন ডিম্পল কাপাডিয়া। এই শাস্তি তিনি দিয়েছিলেন মেয়ের দুষ্টুমি ও অশালীন ভাষা ব্যবহারের জন্য।

২. কেন শাস্তি পেয়েছিলেন টুইঙ্কল খান্না?
মাত্র চার বছর বয়সে এক ব্যক্তিকে গালিগালাজ করেছিলেন টুইঙ্কল। সেই অপরাধে মা ডিম্পল তাঁকে কঠোর শাস্তি দিয়েছিলেন।

৩. টুইঙ্কল কি এই শাস্তির কথা প্রকাশ করেছিলেন?
হ্যাঁ, ১৯৯৭ সালের আনন্দলোক পত্রিকার একটি সাক্ষাৎকারে টুইঙ্কল নিজেই এই শাস্তির ঘটনা প্রকাশ করেন এবং মাকে ‘নিষ্ঠুর’ বলেন।

৪. শাস্তির পর টুইঙ্কল ও ডিম্পলের সম্পর্ক কেমন ছিল?
শাস্তির কারণে টুইঙ্কলের মনে দীর্ঘদিন ক্ষোভ ছিল। তবে বর্তমানে মা-মেয়ের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটা ঘনিষ্ঠ হয়েছে।

৫. শাস্তি নিয়ে টুইঙ্কলের বর্তমান মনোভাব কী?
বর্তমানে টুইঙ্কল মায়ের প্রতি আবেগঘন কথা বলেন এবং সম্পর্ক আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। তবে শৈশবের শাস্তির ঘটনা তিনি মনে রেখেছিলেন দীর্ঘদিন।

৬. টুইঙ্কল ও ডিম্পল এখন একসঙ্গে সময় কাটান?
হ্যাঁ, এখন তাঁরা একসঙ্গে সিনেমা দেখা, শপিং করা এবং একান্তে সময় কাটান। সম্পর্কের জট কাটিয়ে তারা ঘনিষ্ঠ হয়েছেন।