শেখ মফিজুর রহমান শিপন, ইউএনবি (ফরিদপুর): দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গত কয়েকমাসে পেঁয়াজের বাজারে যে অস্থিরতা দেখা গেছে তা এখন আর নেই। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় পেঁয়াজের দাম নাগালের বাইরে চলে যায়। দেশে আড়াইশো টাকারও বেশি কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড।
পেঁয়াজের দাম এমন চড়া হওয়ার কারণে এই পণ্য চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে ওঠেন দেশের কৃষকরা। কিন্তু বর্তমানে দেশে ভরা মৌসুমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বেনাপোল, ভোমরা ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত রবিবার পেঁয়াজের চালান বাংলাদেশে ঢুকেছে।
এ অবস্থায় দেশের পেঁয়াজ চাষীরা উৎপাদন খরচ তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শংকায় দিন পার করছেন।
দেশের ফরিদপুর জেলায় গত কয়েকবছরের তুলনায় এ মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়েছে। গত বছরের চেয়ে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বেশি পেঁয়াজ চাষ করেছেন কৃষকরা।
জেলার চাষীরা জানালেন, এ মৌসুমে পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। তাই মৌসুমের সময় কেজি প্রতি পাইকারি দর ২৫-৩০ টাকা না হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। চাষীদের দাবি, দেশের কৃষককে বাঁচিয়ে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে।
এদিকে জেলা শহরের চকবাজার, হাজী শরীয়াতুল্লাহ বাজার, টেপাখোলা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ কেজি প্রতি খুচরা বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে।
ফরিদপুরের কানাইপুর কাঁচাবাজারের ইজারাদার মো. সেলিম মাতুব্বর জানান, এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। চাষীরা প্রচুর পেঁয়াজ বাজারে আনছেন। ‘এখনতো বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রয়োজন নেই,’ বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, যখন চাষীদের হাতে পেঁয়াজ থাকবে না তখন আমদানি করলে উপকারে আসবে।
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, এ মৌসুমে ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু চাষীরা পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ার আশায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ করেছে। জেলায় এবার ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।