জুমবাংলা ডেস্ক : বাগেরহাটের শরণখোলায় আপন বড় ভাইকে ফাঁসাতে চার মাসের শিশুকন্যা নুপুরকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেছে বলে পিতা আ. মজিদ মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত পিতাকে গ্রেফতার করেছে।
শরণখোলা থানায় দায়েরকৃত মামলা ও নিহত শিশুর মা মারুফা বেগমের অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামের আ. মজিদ মোল্লার সাথে তার আপন বড়ভাই আ. রশীদ মোল্লার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। কয়েকদিন পূর্বে বড়ভাই রশীদের সাথে ছোটভাই মজিদের ঝগড়া হয়। এতে বড়ভাইকে জব্দ করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় মজিদ। রবিবার (৪এপ্রিল) সন্ধ্যায় মজিদ তার স্ত্রী মারুফাকে তাফালবাড়ী বাজারে ঔষধ কিনতে পাঠায়।
এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মজিদ চারমাস বয়সী নিজ শিশুকন্যা নুপুরকে কোলে তুলে নিয়ে বড়ভাই আ. রশীদ মোল্লার পুকুরে ফেলে দিয়ে বাড়িতে এসে বসে থাকে। মজিদের স্ত্রী বাড়িতে ফিরে শিশুকন্যাকে ঘরে না পেয়ে স্বামীর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করায় সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে। শিশুর মা মারুফার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তল্লাশি করে রশীদের পুকুর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুর রহমান জানান, শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিশুটির পিতাকে থানায় নিয়ে আসে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মজিদ তার বড়ভাইকে ফাঁসাতে নিজ শিশুকন্যাকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় মজিদের স্ত্রী মারুফা বেগম বাদী হয়ে সোমবার সকালে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।