আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা ভাইরাস, এ সময় সবচেয়ে ভয়ংকর একটি নাম। যে ভাইরাস কাবু করে রেখেছে পুরো পৃথিবীকে। ঘরবন্দী করে রেখেছে কোটি কোটি মানুষকে। যার কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ।
মূলত, কোভিড-১৯ একটি নতুন ধরনের ভাইরাস, তবে সেটি করোনা ভাইরাসের একটি প্রজাতি। ১৯৬৪ সালে লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের গবেষণাগারে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত করেছিলেন ড. আলমেইডা।
জুন আলমেইডা ভাইরাস ইমেজিংয়ের একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। যার কাজ এখন আবার করোনা ভাইরাসের এই মহামারির সময় কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
১৯৬৪ সালে জুন আলমেইডাকে লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে কাজ করার জন্য প্রলুব্ধ করে যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার পর এই হাসপাতালেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৬০ সালে একটি ভাইরাস বিশেষভাবে নজরে আসে। সেটির নাম দেয়া হয়েছিল বি-৮১৪, যা এসেছিল একটি সারের বোর্ডিং স্কুলের একজন ছাত্রের কাজ থেকে।
সেটা দেখে অবাক হয়ে যান ড. টাইরেল যার সঙ্গেই কাজ করতেন জুন আলমেইডা। তিনি এই নমুনাগুলো জুন আলমেইডাকে পাঠান। যিনি নমুনার মধ্যে ভাইরাস কণা দেখতে পান। সেগুলো সম্পর্কে আলমেইডা বলেন, এগুলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো দেখতে হলেও পুরোপুরি তা নয়। তিনি যা শনাক্ত করেছিলেন, সেটি বিশ্বে পরবর্তীতে করোনা ভাইরাস হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠে।
বিবিসির তথ্য অনুসারে, ড. টাইরেল ও ড. আলমেইডার পাশাপাশি অধ্যাপক টনি ওয়াটারসন যিনি সেন্ট থমাসের দায়িত্বে ছিলেন, তারা ওই ভাইরাসের নামকরণ করেন করোনা ভাইরাস। কারণ ভাইরাসটির চারপাশ জুড়ে অনেকটা মুকুটের মতো সাদৃশ্য ছিল।
তাই তারা পরবর্তীতে এ ভাইরাসটির নামকরণ করেন ‘করোনা ভাইরাস’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



