জুমবাংলা ডেস্ক : জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের চারটি হাঁসের খামারে ‘ডাক ভাইরাস হেপাটাইসিস’ রোগ দেখা দেয়। এতে এক সপ্তাহে ওই খামারিদের অন্তত পাঁচ হাজার হাঁস মারা গেছে বলে জানা গেছে। এতে আতঙ্কে আছেন হাঁস খামারিরা।
খামারিদের দাবি, রোগাক্রান্ত হয়ে হাঁস মারা যাওয়ায় তাদের অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিন ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘ডাক ভাইরাস হেপাটাইসিস’ রোগে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যেই মারা গেছে উপজেলার শাইলগুন গ্রামের খামারি রাজিয়া সুলতানার ১ হাজার ৭০০ হাঁস, হিমাইল গ্রামের খামারি সাইফুলের ১ হাজার ৪০০ হাঁস, মাত্রাই সোনারপাড়া গ্রামের খামারি রিমা আক্তার নিশির ১ হাজার ৬০০ হাঁস এবং একই গ্রামের খামারি শফিকুলের ২০০ হাঁস।
মাত্রাই গ্রামের খামারি রিমা আক্তার নিশির স্বামী মিনহাজুলের অভিযোগ, প্রায় তিন বছর ধরে তারা খামারে বাণিজ্যিকভাবে হাঁস পালন করে আসলেও এ পর্যন্ত কোনো প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তাদের খামারে যাননি। হাঁস রোগাক্রান্ত হলে তারা প্রাণিসম্পদ অফিসে যান। ডাক্তাররা শুধু ব্যবস্থাপত্র দেন। কোনো ওষুধ দেন না।
শাইলগুন গ্রামের খামারি রাজিয়া সুলতানা জানান, হাঁস পালনের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে তার দুই লাখ টাকা ঋণ নেয়া আছে। হাঁসের খামারে মড়ক দেখা দেয়ায় এক সপ্তাহে তার অন্তত ১ হাজার ৭০০ হাঁস মারা গেছে। প্রতিটি হাঁসের বাজার মূল্য ৩০০ টাকা ধরে তার অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন ভুক্তভোগী খামারি সাইফুল ও শফিকুল।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তালেব জানান, অল্পদিন আগে তারা কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। কেউ খামারে যাওয়ার কথা বললে তারা পরিদর্শনে যান। ওষুধের বরাদ্দ সীমিত, ছোট পরিসরে যারা হাঁস-মুরগি পালন করে তাদের বিনামূল্যে ওষুধ দিলেও খামারিদের দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, হাঁস খামারিদের চিকিৎসা দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন (ভিএস) ডা. মো. নুরুজ্জামান। মারা যাওয়া হাঁসের ময়নাতদন্ত করে এটিকে তিনি (ভিএস) হাঁসের ‘ডাক ভাইরাস হেপাটাইসিস’ রোগ বলে শনাক্ত করেন এবং চিকিৎসা দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।