আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাস দিনে দিন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে পাশের দেশ ভারতে। দেশটিতে তিন দফায় টানা ৪৪ দিন ধরে লকডাউন চলছে। এ পরিস্থিতিতে সব মানুষকে ভাইরাস নিয়ে বাঁচতে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় মোদি সরকার।
শনিবার (৯ মে) ওয়ার্ল্ডো মিটারে সর্বশেষ আপডেটকৃত তথ্য বলছে ভারত আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯,৬৯৫জন আর মৃত্যু হয়েছে ১,৯৮৫ জনের ও সুস্থ হয়েছেন ১৭,৮৮৭ জন।
তৃতীয়দফা লকডাউন চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর যুগ্ম মহাসিচব এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়বে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সব রাজ্যে একই সঙ্গে লকডাউন উঠবে নাকি ধীরে ধীরে কয়েক ধাপে, তা জানার জন্য আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। তবে পুনরায় আর লকডাউন দেয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই বললেই চলে।
ভারতে তিন দফায় টানা ৪৪ দিন ধরে দেশজুড়ে লাগাতার লকডাউনের পর এমন ঘোষণা দিয়েছে মোদি সরকার। দেশের অর্থনীতি ও খেঁটে খাওয়া মানুষের কথা ভেবেই এমন সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেরও শনিবার (৯ মে) থেকে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন দেশের অর্থনীতি বাঁচানোর স্বার্থে লকডাউন শিথিল বা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৫৬ হাজার ৩৪২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৬,৫৪০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থতার হার ২৯.৩৬ শতাংশ। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের মাত্র ৩.২ শতাংশ রোগীকে অক্সিজেন সার্পোটে রাখতে হয়েছে বলে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এ রয়েছেন আক্রান্তের ৪.৭ শতাংশ। ভেন্টিলেটরে থাকা করোনা রোগীর শতকরা হার আরও কম। মাত্র ১.১ শতাংশ।
প্রসঙ্গত: শনিবার (৯ মে) সকালে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ডো মিটারে সর্বশেষ আপডেটকৃত তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪০ লাখ ১২ হাজার ৮৩৭ জনের শরীরে।
এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ২১৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ১৪১ জন।
বর্তমানে ভাইরাসটির উপস্থিতি রয়েছে ২৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৮০ জনের শরীরে। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ ২ হাজার ৭৮১ জনের সংক্রমণ মৃদু এবং ৪৮ হাজার ৬৯৯ জনের অবস্থা গুরুতর।
সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৩ লাখ২১ হাজার ৭৮৫ জনের শরীরে। দেশটিতে এ প্রাদুর্ভাবে মারা গেছেন ৭৮ হাজার ৬১৫ জন।
চীনে আক্রান্ত ৮২,৮৮৭ জন, মৃত্যু ৪,৬৩৩ জন আর ভালো হয়েছেন ৭৮,০৪৬ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।