বিনোদন ডেস্ক: ‘মৃত্যুর দুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে ফারুকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তখন বলেছিল ভাই ইনশাল্লাহ সুস্থ হয়ে দ্রুতই আমি বাড়ি ফিরবো। ভাই বাড়ি ফিরলো ঠিকই কিন্তু জীবিত নয়, লাশ হয়ে।’ বুধবার (১৭ মে) দুপুরে নায়ক ফারুক সম্পর্কে স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে তার আপন ফুফাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হুমায়ুন মাস্টার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার মামা ও ফারুকের বাবা আজগার হোসেন পাঠান একজন চিকিৎসক ছিলেন। মামার চাকরির সুবাদে ফারুকের জন্ম হয় মানিকগঞ্জের গিওরে। মায়ের কাছে শুনেছি আমার বয়স তখন ৬ মাস। আমার মা ফারুককে দেখতে আমাকে কোলে নিয়ে গিওরে গিয়েছিলেন। সে বয়সে আমার ৬ মাসের ছোট হলেও বাড়িতে এলে আমাকে সব সময় ডাকতেন। আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল একেবারে বন্ধুর মতো। ছোটবেলা থেকেই সে খুব নাটক প্রিয় ছিল। ঢাকায় কাজ না থাকলে গ্রামে চলে আসতেন নাটক করতে এবং গ্রামে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে স্থানীয়দের মন জয় করে নিত সে।
তিনি আরো বলেন, গ্রামীণ পটভূমিতে তিনি খুব মানানসই ছিলেন। রূপালী পর্দায় তিনি গ্রামীণ চরিত্রে খুব সাবলিল ছিলেন। মিয়া ভাই, লাঠিয়াল, শিমুল-পারুল ও সুজন সখি সিনেমাসহ বেশকিছু সিনেমায় তার গ্রামীণ চরিত্রগুলোই তার প্রমাণ। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে বুবু হিসেবে ডাকতেন।
উল্লেখ্য, নায়ক ফারুক গত ১৫ মে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান ও পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্যা ভক্ত রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ৯টার দিকে সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে সাড়ে ৯টায় ওই মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নায়ক, এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান দুলু ওরফে ফারুকের পৈতৃক ভিটায় তার মরদেহ আনা হয়। সেখানে এলাকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
চিত্রনায়ক ফারুকের ৫ হাজার কোটি ব্যাংকঋণের সত্যতা নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।