আহত ভাই শহিদুল মণ্ডল ও ভাবি জান্নাতুন নেছাকে উদ্ধার করে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর আগে মৃত নবির উদ্দিন মণ্ডলের ছোট মেয়ে সাহারা খাতুন মেওয়া বসতবাড়িসহ বেশ কিছু জায়গা-জমি বাবার কাছ থেকে দলিল করে নেন।
এ নিয়ে সাহারা খাতুন মেওয়া ও তার ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ ঘটনায় সুষ্ঠু সমাধান করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা কয়েক দফা বৈঠক করেন। কিন্তু কোনো সুরাহা না হওয়ায় সাহারা খাতুনের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা করেন।
হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সকালে ছোট বোন মেওয়া খাতুন বহিরাগত ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে এসে জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণের চেষ্টা করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে ভাই শহিদুল ইসলাম ও তার দুই ভাবি আঞ্জুয়ারা, জান্নাতুন নেছাকে মারপিট করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে বাড়ি নির্মাণ করার চেষ্টা করা হয়।
এ সময় গোপনে স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে ছবি ধারণ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে থানাপুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে। পরে তাদের নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত শহিদুলের ছোট ভাই আবু হানিফ মণ্ডল বলেন, দীর্ঘ দিন আগে তার ছোটবোন সাহারা খাতুন মেওয়া বাবার নিকট থেকে তাদের বসতবাড়িসহ বেশ কিছু জমি দলিল করে নেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ কয়েক দফা বৈঠক হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় ভাই শহিদুল ইসলাম আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা করেন। হঠাৎ করেই ছোট বোন লোকজন নিয়ে এসে ভাই-ভাবিদের মারপিট করে জমি দখলের চেষ্টা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাহারা খাতুন মেওয়া বলেন, বাবার কাছ থেকে দলিল করে নেয়ার পর থেকে তারা আমার জায়গা ছেড়ে দিচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের পরামর্শে লোকজন নিয়ে ঘর করতে গিয়েছিলাম। তারা বাধা দিলে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।
রানীনগর থানার ওসি জহুরুল হক বলেন, ভাইবোনের মধ্যে তিনশতক জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। ভাইয়েরাও জানত জমিটা বোনের। জমির মালিক জমিতে ঘর উঠাতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তবে গাছে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি জানা নেই।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের নিকট থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।