নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : একাধিকবার প্রতিবেশী চাচাত ভাইয়ের স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়েছে শফিকুল ইসলাম (৩৫)। তার কু-প্রস্তাব থেকে বাদ যায়নি প্রতিবেশী চাচীও। মাঝে মধ্যে টাকার প্রলোভন দেখিয়েও কু-প্রস্তাব দিত শফিকুল। তারা সব সময় ওই লম্পটকে এড়িয়ে যেত। কিন্তু তার ডাকে ভাবী সাড়া না দেওয়ায় অবশেষে প্রতিবেশী ৫৫ বছরের চাচীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে ওই লম্পট।
ধর্ষণে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ভাটিরা (ডেউয়ান) গ্রামের জুমুর উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। সে বিবাহিত এবং তার সংসারে ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধি মেয়ে, ১০ ও ৬ বছরের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। স্থানীয়ভাবে সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে।
নির্যাতিতা ওই নারীর ছেলে প্রতিবেদককে জানান, প্রায়ই ওই লম্পট তার স্ত্রী ও মাকে কু-প্রস্তাব দিত। তারা ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় টাকার প্রলোভনও দেখাত। ওই লম্পটের যন্ত্রণায় তার বাড়ির আশপাশের অনেক নারী অতিষ্ট। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি সবাই এড়িয়ে যেতেন। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মা একা ঘরে শুয়েছিল। ওই সময় তার স্ত্রী পাশের ঘরে নামাজ পড়ছিল। তখন ওই লম্পট ঘরে প্রবেশ করে তার মাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রাতে ছেলে বাড়ি ফিরলে মাকে বিদ্ধস্ত অবস্থায় দেখে কি হয়েছে প্রশ্ন করলে মা ঘটনাটি এড়িয়ে যান। যে কারণে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের চাপের মুখে দুপুরে বিষয়টি ছেলের বৌয়ের কাছে খুলে বলেন। ছেলের বৌ বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে আলাপ করলে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করেন। পরে চিকিৎসক তাদেরকে থানায় অভিযোগ করতে বলেন এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেন। রাতে ধর্ষণের বিষয়ে তার নির্যাতিতা মা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক সঞ্জয় দত্ত বলেন, রোগী সকালে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যায় ধর্ষণের বিষয়টি আলোচনা করলে পুলিশের সহযোগীতা নিতে এবং শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, রাতে অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা (নং ২৮) হয়েছে। অপরাধীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সকালে নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।