স্পোর্টস ডেস্ক : এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আইসিসিতে সবেচয়ে বেশি দাদাগিরি করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাদের স্বার্থ ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে না। এতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নয়। আগামী বছর থেকে আইপিএলে বাড়ছে দলের সংখ্যা। ৮ দলের টুর্নামেন্ট হবে ১০ দলের। তবে দল বাড়ালে সেটির প্রভাব ফেলবে আন্তর্জাতিক সূচিতে। তাই এতে আপত্তি ছিল আইসিসির। অবশেষে সেই ঝামেলা মিটেছে।
সামনের এফটিপি সূচিতে আইসিসির ক্রিকেট কমিটি একাধিক টুর্নামেন্ট রেখেছে। এমনকি বন্ধ হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের সিদ্ধান্তও হয়েছে। এতে বাগড়া দিয়েছিল বিসিসিআই। তাদেরকে সমর্থন দিয়েছিল কুখ্যাত ‘তিন মোড়ল’ এর অপর দুই সদস্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডও (ইসিবি)। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে আইসিসির একাধিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে বিসিসিআই।
এই রাজি হওয়ার পেছনে ভারতের নিজস্ব স্বার্থও আছে। আইপিএলে দল বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিসিআই সেটির অনুমোদন দিয়েছে আইসিসি। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়নি। ভারত আইসিসির থেকে আইপিএলের জন্য বাড়তি উইন্ডো আদায় করে নিয়েছে। বিনিময়ে আইসিসির টুর্নামেন্টগুলো আয়োজনে তাদেরকে সম্মতি দিতে হয়েছে। যদিও এর আগে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী এতগুলো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিরোধিতা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, আইসিসি প্রায় প্রতি বছরই কোনো না কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০২০ ও ২০২১ সালে টানা দুই বছরে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে পড়ায় এখন ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩- টানা তিন বছরে তিনটি বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এতেও যেন আইসিসি সন্তুষ্ট হচ্ছিল না। তারা বছরে একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চেয়েছে। যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে তাদের ঝামেলা চলছিল।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।