স্পোর্টস ডেস্ক : মাত্র দুই বছর আগে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। ফাইনালে হারিয়েছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে। দলের জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও ছিল নরেশ তুম্বারের।
দৃষ্টিহীনদের সেই বিশ্বকাপ জয় করে দেশে ফিরে নরেশ তুম্বাররা প্রচুর সংবর্ধনা, অভ্যর্থনা পেলেও চাকরি মেলেনি। সরকারি সহায়তাও পাননি।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন শনিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, বর্তমানে আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়াতে করোনা করোনা পরিস্থিতিতে পাঁচ জনের সংসার চালাতে আমেদাবাদের জামালপুর বাজারে বসে সবজি বিক্রি করছেন বিশ্বকাপজয়ী নরেশ। তার আক্ষেপ, ধোনিরা বিশ্বকাপ জিতলে টাকা পায়, কিন্তু দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের দিকে কেউই নজর দেয় না।
২০১৮ সালের ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ৩০৭ রান তুলেছিল পাকিস্তান। জবাবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। মনে রাখার মতো ইনিংস খেলেছিলেন নরেশ। এরপর দেশে ফিরে সংবর্ধনা, প্রতিশ্রুতি– সবই ছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। তাই ২৯ বছর বয়সি নরেশের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে অর্থাভাব। প্রথমদিকে দিনমজুরের কাজ করলেও করোনা পরিস্থিতিতে তাও বন্ধ হয়ে যায়। শেষে নিরুপায় হয়ে সংসার চালাতে সবজি বিক্রি করতে শুরু করেন নরেশ। জামালপুর মার্কেটে সবজি বিক্রি করেই পাঁচজনের সংসার চালাচ্ছেন তিনি। আক্ষেপ, বিশ্বকাপ জিতলেও একটাও চাকরি জুটল না।
এই প্রসঙ্গে নরেশ বলেন, ধোনিরা বিশ্বকাপ জিতলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কত সম্মান দিয়েছিল। আর্থিক পুরস্কারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাদের মতো দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের জন্য কিছুই করা হয়নি। এমনকী আমরা আর্থিক অনুদানও পাইনি। দৃষ্টিহীন বলেই কি আমাদের সঙ্গে এরকম ব্যবহার? সমাজের উচিত আমাদেরও সমান নজরে দেখা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।