আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন নয়াদিল্লি সফর করতে যাচ্ছেন। এর আগেই ইইউ-র এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাড়ি ও মদের ওপর চড়া শুল্ক কমানোর জন্য ভারতকে অনুরোধ করার পরিকল্পনা করছেন তারা। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে ইইউ এই পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। খবর ভয়েস অফ আমেরিকার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্কের হুমকির পুনরাবৃত্তি করে ওই কর্মকর্তা বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনাকে দ্রুততর করার মূল লক্ষ্য নিয়ে ইইউ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমাতে ভারতকে অনুরোধ করবে। এ ছাড়া সংস্থাটি ভারতে তাদের পণ্য প্রবেশের সুযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানাবে। এর বিনিময়ে, কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে নমনীয়তার প্রস্তাব দেবে।
ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের দুই দিনের সফর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে। তার সঙ্গে ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারাও থাকবেন। এই সফর এমন সময়ে হচ্ছে যখন ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রাসেলস ও নয়াদিল্লি তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ক্ষেত্র নির্ধারণ করবে।
ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করবেন উরসুলা ভন ডার লিয়েন।
পরবর্তী বাণিজ্য আলোচনা এ বছর ১০-১৪ মার্চ ব্রাসেলসে নির্ধারিত হয়েছে। ইইউ ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। ২০২৪ সালে পারস্পরিক বাণিজ্য প্রায় ১২৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে। গত দশকের তুলনায় এটি প্রায় ৯০% বেশি।
‘ডি-রিস্কিং’ কৌশলের অংশ হিসেবে ইইউ’র লক্ষ্য ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করা, সরবরাহ চেইনে বৈচিত্র্য আনা এবং চীন থেকে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমানো।
দক্ষিণ চীন সাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সাইবার হুমকি ও উত্তেজনা বৃদ্ধিসহ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবেও বিবেচনা করছে ইইউ।
এ ছাড়া, ইউক্রেনের নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়সঙ্গত চুক্তির ব্যাপারে লিয়েন ভারতের সমর্থন চাইবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
সাইবার আক্রমণ এবং সন্ত্রাসবাদের মতো সাধারণ হুমকি মোকাবেলায় ইইউ এবং ভারত গোপন তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বাণিজ্য বিবেচনা করতে পারে।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফর বাস্তব ফল নাও বয়ে আনতে পারে।
দিল্লি-ভিত্তিক থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক গ্লোবাল ট্রেড ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় ভারতের প্রাক্তন আলোচক অজয় শ্রীবাস্তব বলেছেন, ভারত যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে ইইউকে।
এ কারণে ভারতকে একটি তথ্য-সুরক্ষিত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত তাদের।
সূত্র : ইত্তেফাক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।