স্পোর্টস ডেস্ক: দুবাইয়ে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভসূচনা করল পাকিস্তান। ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয় পাকিস্তানের।
গোটা ম্যাচেই চালকের আসনে থেকে বিশ্বকাপ মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে এই জয় তুলে নিল পাকিস্তান। বাবর-রিজওয়ান জুটির কাছে ভারতীয় বোলারদের অসহায় লেগেছে। মাঠে তারা শুধু ঘামই ঝরিয়েছেন।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাবর আজম। খেললেন ৫২ বলে ৬৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। যেখানে ৬ বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কার মার রয়েছে।
উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানও কম যাননি। বাবরকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ৫৫ বলে ৭৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেললেন তিনি। তার ইনিংসে ছক্কার মার ছিল ৩টি আর মাটি কামড়িয়ে বল সীমানা ছাড়া করেছেন ৬বার।
জয়ের লক্ষ্যে শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৭ রানে। ১৮ বলে ১৭ রান। সবকটি উইকেট হাতে। জয়ের উল্লাসে মাতা শুধু সময়ের ব্যাপার।
এ রানের জন্য শেষ ওভার পর্যন্ত আর অপেক্ষা করেননি তারা। ১৭.৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দলকে।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি ভারত। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে সক্ষম হয় বিরাট কোহলিরা। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপের মুখে পড়েন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মাকে এলবিডব্লিউ করেন শাহিন আফ্রিদি। কোনো রান না করেই ফিরে যান হিটম্যান। তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই ফিরিয়ে লোকেশ রাহুলকে বোল্ড করেন আফ্রিদি। ৮ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি।
এরপর ষষ্ট ওভারে হাসান আলির বলে রিজওয়ানের তালুবন্দী হয়ে ফেরেন সূর্যকুমার যাদব। ১ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ১১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন তিনি। ৩১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারায় ভারত।
৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চতুর্থ উইকেটে পন্থকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েন কোহলি। ৩০ বলে ৩৯ রান করে শাদাব খানের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ঋষভ পন্থ।
এরপর একাই হাল ধরেন কোহলি। ৪ট চার ও ১ট ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারত অধিনায়ক। ১৮তম ওভারে হাসান আলির বলে নওয়াজের হাতে ধরা পড়েন রবীন্দ্র জাদেজা। ১ট বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
দলীয় ১৩৩ রানে শাহিন আফ্রিদির শিকার হন কোহলি। রিজওয়ানের তালুবন্দী হবার আগে ৫ট চার ও ১ট ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে ৫৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন তিনি। শেষ ওভারে হ্যারিস রউফের বলে বাবরের হাতে ধরা পড়েন হার্দিক পান্ডিয়া। ২টা বাউন্ডারির সাহায্যে ৮ বলে ১১ রান করেন পান্ডিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে সক্ষম হয় বিরাট কোহলিরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।