আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযান চালিয়েছে ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পাকিস্তানের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালানো হয়। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। এসব হামলায় নিহত সেনা সদস্যদের সংখ্যা জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
রোববার (১১ মে) এক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সংঘাতে তাদের পাঁচজন সৈন্য নিহত হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
নিহত সহকর্মীদের আত্মত্যাগ সর্বদা স্মরণ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এ ছাড়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি ৭ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণরেখায় কামান ও ছোট অস্ত্রের গুলিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জন সদস্য নিহত হয়েছে।
৭ মে ভোরে ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করে ভারত, যার আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। পরে প্রতিটি পাল্টা প্রতিক্রিয়া এই অভিযানের অংশ হিসেবেই পরিচালিত হয় বলে জানায় নয়াদিল্লি।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, আমাদের লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী ঘাঁটি। পরে পাকিস্তান যখন আমাদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালায়, তখন আমরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করি। এতে তাদের পক্ষেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও তা এখনো মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান চুক্তি ভঙ্গ করে হামলা চালায় বলে দাবি করেছে ভারত। ভারত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, পাকিস্তান যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, তাহলে তার ‘কঠোর জবাব’ দেওয়া হবে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজিব ঘাই এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে জানান, যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের বিষয়ে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানকে ‘হটলাইন’ বার্তার মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel