আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। বিতর্কিত এই আইনে প্রতেবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে আইনটিকে বৈষম্যমূলক অভিহিত করে ভারতজুড়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে।
রবিবার ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জে কিষাণ রেড্ডি বলেন, ‘ভারত নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশ অর্ধেক ফাঁকা হয়ে যাবে। অর্ধেক বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে চলে আসবে যদি ভারত নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেয়। দায় কে নেবে? কে চন্দ্র শেখর রাও? নাকি রাহুল গান্ধী?’ তিনি বলেন, ‘তারা অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিতে চায়। ঠিক আছে, ভারত সরকার সিএএ পর্যালোচনা করতে রাজি আছে।’
মানবিক কারণে নিপীড়িত সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে দাবি করে রেড্ডি অভিযোগ করেন, চন্দ্রশেখর রাও-এর তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) ও তাদের মিত্র দল অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, আমি টিআরএসকে অনুরোধ করছি। আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করছি। এমনকি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি যে প্রয়োজনে তিনি প্রমাণ করে দেখান, দেশের ১৩০ কোটি নাগরিকের মধ্যে একজন ব্যক্তিও সিএএ-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীরা এক নয় জানিয়ে জে কিষাণ রেড্ডি বলেন, কংগ্রেসের মতো দলগুলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দিতে চায়। তিনি দাবি করেন, কোনও কোনও শরণার্থী ন্যূনতম কোনও সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই গত ৪০ বছর ধরে ভারতে বসবাস করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।