জুমবাংলা ডেস্ক: মুজিববর্ষের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এতে যদি ভারতের অংশগগ্রহণ না থাকে আমি মনে করি, মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানটি পূর্ণতা পাবে না। খবর ইউএনবি’র।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য তৎকালীন ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশে ছুটে গেছেন। সেই আন্তর্জাতিক চাপ ও বিশ্বজনমতের কারণেই পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। সেই কারণেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন। তাকে কয়েক মাস আগে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে হাসান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোন দেশের যদি একক অবদান থাকে তা হলো ভারত। বাংলাদেশের এক কোটি মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল, তারা সর্বাত্মকভাবে আমাদের সহায়তা করেছে।
মোদিকে প্রতিহতের ঘোষণায় সরকার কি ভাবছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি আছে যারা সবসময় বিরোধী রাজনীতি করে এবং সাম্প্রদায়িকতাকে উসকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পক্ষ থেকে এগুলো করা হচ্ছে। এখানে ভারতের সরকারকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। ভারতের কোন সরকার ক্ষমতায় আছে সেটি আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতে কি ঘটেছে, কি ঘটেনি সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশে তো এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আসার ক্ষেত্রে প্রশ্ন তোলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যারা এই প্রশ্ন তুলছে (বিএনপি) তাদের মূল রাজনীতিই হচ্ছে ভারত বিরোধিতা। ভারত বিরোধিতাই তাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। সেই রাজনীতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য মির্জা ফখরুলরা এই প্রশ্ন তুলছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।