ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুল জেলার চিন্না টেকুর গ্রামে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় যাত্রীবোঝাই একটি বাসে আগুন ধরে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী একটি ভলভো বাস মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে যায়। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত ১২টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে ছাড়ে কাবেরি ট্রাভেলসের এসি বাসটি। ভোর সাড়ে ৩টার দিকে কুরনুলের চিন্না টেকুরের কাছাকাছি এসে ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
কুরনুল জেলার পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল জানান, “ভোর ৩টার দিকে বাসটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে গেলে সম্ভবত সেখান থেকেই আগুন ধরে যায়। যেহেতু এটি এসি বাস ছিল, যাত্রীরা জানালার কাচ ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যারা তা করতে পেরেছেন, তারা প্রাণে বেঁচে গেছেন।”
প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ায় কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (এফএসএল) দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে।
বাসের যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, এতে চালক ও সহকারীসহ মোট ৪০ জন ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে থাকায় অনেকে আগুন থেকে পালাতে পারেননি বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’ নামে আত্মপ্রকাশনাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’ নামে আত্মপ্রকাশ
পাতিল আরও জানান, ‘১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।’
স্থানীয় প্রশাসনের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, আহত ১১ জনকে সরকারি হাসপাতালে ও তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজ এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



