জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের আনুগত্য নিয়ে সরকার দেশ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, আজ একটি রাষ্ট্রের প্রতি নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বর্তমান শাসক দলের অভ্যাস। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যখন বিপদে পড়েন তখন বলেন, ‘দিল্লি আছে, আমরা আছি’। দিল্লি থাকলে এই সরকার আছে। ১৯৭২ সালে এ জন্য যুদ্ধ করেছি? কখনোই না।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মেজর হাফিজ এসব কথা বলেন। ‘অরক্ষিত স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিহীন বিপন্ন বাংলাদেশ: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
সভায় মেজর হাফিজ বলেন, বিএনপি পথনির্দেশ করেছে। দলের নেতাকর্মীরা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন স্বাধীনতার মূল্যবোধকে উজ্জীবিত করার জন্য, স্বাধীনতার লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য। বিএনপির এই সংগ্রাম জনগণের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার সংগ্রাম, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। এই সংগ্রামে অবশ্যই আমাদের জয়ী হতে হবে। এই সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। কারণ, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের আদর্শ।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দুঃখ লাগে ৮০ বছর বয়সে গাড়ি পোড়ানো মামলায় এই স্বাধীনতার মাসে জেলে যেতে হলো। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে অসম্মান করা হলো।
এই বীরবিক্রম বলেন, অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এখন বৃদ্ধ। আগামী দিনগুলোতে নতুন প্রজন্মকে দীক্ষা দিয়ে যাব– দেশকে ভালোবাস, দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার মানসিকতা অর্জন করো। এটাই হলো আজকের দিনে সবার প্রতিজ্ঞা। যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেমেছি, তা ব্যর্থ হতে পারে না। অবশ্যই দুঃশাসনের অবসান হবে।
মেজর হাফিজ বলেন, দেশে যা কিছু করে– ভালো-খারাপ সবকিছু বিএনপি করেছে। আমরা ক্ষমতায় নেই এত বছর। তাদের (আওয়ামী লীগ) সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, জিনিসপত্রের দাম নাকি বিএনপি বাড়াচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ন্যায্য দাবিদার ছিলেন, সেটাই তিনি চেষ্টা করেছেন। এতে দোষের কিছুই নেই। কিন্তু তাঁর দলের অনুসারীরা প্রমাণ করে যে, স্বাধীনতার ঘোষণা তিনি দিয়ে গেছেন। শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক কৃতিত্ব আছে। কিন্তু জীবন বিপন্ন করে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, এই কৃতিত্ব দিতে হবে। এটুকু কৃতিত্ব অন্যকে দিতে কেন এত অপারগতা? কেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানি এজেন্ট বলে প্রমাণ করতে চায়? তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।