স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা দ্বৈরথ পাক-ভারত লড়াই। এই লড়াইয়ের ফলাফলে দুই দলের ব্যবধান সামান্যই। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণও হতো অল্প বিস্তর ব্যবধানে। স্বাভাবিকভাবেই এই লড়াইয়ে স্নায়ুচাপ সাধারণ আট-দশটা ম্যাচের চেয়ে বেশি। তাই ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানেই আফ্রিদির কাছে বিশেষকিছু। তিনি উপভোগ করতেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই-ও।
স্নায়ুক্ষয়ী লড়াই শেষে কখনো বিজয়ের হাসি হেসেছে পাকিস্তান, কখনো বা ভারত। জয়ী ম্যাচে পাকিস্তানি তারকার আফ্রিদির বিশেষ একটা গুণ ছিল। চিরশত্রুদের প্রতি সহমর্মিতা দেখাতেন তিনি। ভারতকে হারানোর পর ক্ষমা চাইতেন আফ্রিদি। শুক্রবার এমনটাই বললেন তিনি, ‘আমরা সবসময় ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ উপভোগ করেছি। ওদের অনেক ম্যাচে হারিয়েছি। এত বেশি হারিয়েছি যে, ম্যাচ শেষে ওদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতাম।’
টেস্ট ক্রিকেটে কয়েক বছর ধরে উপমহাদেশের দল দুটি মুখোমুখি হচ্ছে না। অথচ একটা সময় পাক-ভারত টেস্টের দ্বৈরথ নিয়মিত ছিল। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের মতো টেস্টেও ছড়াতো উত্তেজনার রেণু। তবে আফ্রিদির কাছে সেরা ম্যাচ ছিল ১৯৯৯ সালের চেন্নাই টেস্ট। নাটকীয় ওই টেস্টে স্বাগতিক ভারতকে ১২ রানে হারিয়ে উৎসবে মাতে পাকিস্তান।
সেদিন ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। কিন্তু তাকে ম্লান করে দিয়েছে আফ্রিদির ইনিংসটা। ২১ বছর আগের সেই ইনিংসটাই আফ্রিদির ক্যারিয়ারে সবচেয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকল। শনিবার একটি ইউটিউব চ্যানেলকে তিনি বললেন, ‘আমার সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিংসটা ছিল ১৪১ রানের; সেটাও ভারতের বিপক্ষে।’
ভারত-পাকিস্তান লড়াই দর্শকদেরই স্নায়ুচাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে ছাড়ে দর্শকদের। তখন খেলোয়াড়রা কতটা চাপে থাকেন সেটা আন্দাজ করাই যায়। আফ্রিদি যথার্থই বললেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দুর্বলচিত্তের খেলোয়াড়দের জন্য নয়। আপনাকে মানসিকভাবে খুব শক্তিশালী হতে হবে। কারণ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং পারফর্ম করতে হয়। এখানে মানুষের প্রত্যাশারও অনেক চাপ থাকে। ভক্তরা আপনার পারফরম্যান্স দেখতে চান।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।