জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ ভারতে বিদেশি পর্যটকের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা। সরকারি তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি ভারতে ঘুরতে গেছেন। এরমধ্যে আবার প্রায় ৮০ শতাংশই যান চিকিৎসার জন্য। তবে ভারতের চিকিৎসা ভিসা পেতে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। দুর্ভোগ লাঘবে চালু হচ্ছে ই-মেডিকেল ভিসা।
প্রায় ৮০ শতাংশ বাংলাদেশি ভারতে যান চিকিৎসার কাজে। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া
ভারতে চিকিৎসা করাতে আসা বেশিরভাগ বাংলাদেশি পর্যটকের ঠিকানা কলকাতার বাইপাস লাগোয়া মুকুন্দপুরের হাসপাতাল পল্লি। এখানে ছোটবড় ১০ থেকে ১২টি বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। দিনে গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বাংলাদেশি পর্যটক শুধু চিকিৎসার জন্য এই এলাকার এই হাসপাতালে ভিড় করেন।
তবে পর্যটকদের অভিযোগ, যে সংখ্যক রোগী ভিসার জন্য ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে আবেদন করেন, তার অর্ধেকেরও কম পর্যটককে দেয়া হচ্ছে ভিসা। ফলে অনেকেই সঠিক সময়ে আসতে না পেরে চরম বিড়ম্বনার শিকার হন।
যদিও সদ্য অনুষ্ঠিত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে যে সমঝোতা সই হয়েছে; সেখানে বড় জায়গা পেয়েছে দুই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় পারস্পরিক সহযোগিতা। চালু করা হচ্ছে ই-মেডিকেল ভিসা। চিকিৎসার সংক্রান্ত কাগজপত্র দিলেই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিলবে ই-ভিসা।
তবে শুধু ই-ভিসা ব্যবস্থাপনাতেই থেমে থাকলে চলবে না, ভারতের চিকিৎসকরা মনে করছেন, বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চিকিৎসা খরচ কমানোসহ তাদের সব ধরনের সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে।
ভারতের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অসুবিধাটা যেন না হয়। কারণ সবাই সব রকমভাবে খরচ করতে পারে না। স্বল্প মূল্যে তারা যেন সুচিকিৎসা পায় সরকার এইদিকে নজর দিক।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কলকাতার অর্থনীতির বড় একটা অংশ এই চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পার্কিত। তাই ই-মেডিকেল ভিসার ফলে সবচেয়ে বেশি লাভভান হবে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।