আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিঘায় অসময়ে প্রতিদিন ধরা পড়ছে এক টন করে ইলিশ। এতে বেশ খুশি ওপার বাংলার মানুষ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।
দিঘা ফিশারম্যান ও ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে রোজ গড়ে এক টন করে ইলিশ উঠছে দিঘার সমুদ্র থেকে। এই সময়ে এত ইলিশ আগে দেখা যায়নি।
পশ্চিমবঙ্গের মানিকতলা বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে ইলিশের চেহারা দেখে চমকে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা রমাপদ মজুমদার।
মৌসুম পেরিয়ে গেলেও বাজারে বিশাল সাইজের ইলিশ! বর্ষাতেও তো এই দামে এমন চেহারার পাননি তিনি! তাই আর চেখে দেখার লোভ সামলাতে পারেননি। শেষমেশ ইলিশ ব্যাগবন্দি করেই ফিরলেন।
নভেম্বরের শেষে এ রকম ইলিশের আমদানি দেখেননি মানিকতলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী প্রদীপ মণ্ডলও। তিনি জানান, ভরা বর্ষায় ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের মাছের দাম ছিল এখনের তুলনায় কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা বেশি। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম কেজি প্রতি ৪০০ টাকার বেশি।
এখন ইলিশ মূলত আসছে ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপের সমুদ্র থেকে। ওই সময়ে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি থাকায় দাম বেড়েছিল। আর এখন, দুর্গাপূজার পর থেকে সরস্বতী পূজা পর্যন্ত অনেকে সংস্কার মেনে ইলিশ খাওয়া বন্ধ রাখেন। ফলে চাহিদা কম থাকে বলে দামটাও এখন কম।
মানিকতলার পাশাপাশি উল্টোডাঙা, কলেজ স্ট্রিট, গড়িয়াহাট, লেক মার্কেটসহ শহরের বিভিন্ন বাজারে গত দুদিন ধরে ইলিশের দাপট! এক কেজি থেকে দেড় কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকায়। পাঁচশ থেকে সাতশ গ্রামের ইলিশ কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, দিঘার তুলনায় গত দুদিনে কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, রায়দীঘির সমুদ্র থেকে সব থেকে বেশি ইলিশ জালে উঠছে।
গত তিন দিনে এসব এলাকা থেকে সব মিলিয়ে প্রায় সত্তর টন ইলিশ উঠেছে। বেশিরভাগের ওজন পাঁচশ থেকে সাতশ গ্রাম। স্বাদেও হার মানাচ্ছে বর্ষার ইলিশকে।
আবহাওয়ার পরিবর্তনই রুপালি ইলিশের আচমকা আমদানির কারণ, বলছেন মৎস্য গবেষকরা। কেন্দ্রীয় মৎস্যশিক্ষা সংস্থার (কলকাতা কেন্দ্র) বিজ্ঞানী গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের মতে, আবহাওয়া পরিবর্তন তো আছেই। এ ছাড়া পরিযায়ী শ্রেণির ইলিশ পানিতে তার গতিপথ পরিবর্তন করা এই অসময়ে প্রাপ্তির কারণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।