জুমবাংলা ডেস্ক: ভারতের বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে রবিবার নতুন করে আর কোন পেঁয়াজবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢোঁকার অনুমতি দেয়া হয়নি। অপেক্ষমান ট্রাকে প্রচুর পরিমান পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ভারতের পাঁচটি স্থলবন্দরে প্রায় ৫শ’ পেঁয়াজবাহী ট্রাক এক সপ্তাহ ধরে দাড়িয়ে আছে কাস্টমস ক্লিয়ারেনসের অপেক্ষায়। কিন্তু এই পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীরা এখন কোথায় যাবেন কি করবে বুঝতে পারছেনা। দু’দেশের ব্যবসায়ীমহল বলেছেন, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ পরিস্কার সিদ্ধান্ত দিলে বিকল্প কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম আমরা।
হিলি স্থল বন্দরের আমদানি রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ জানান, বর্তমানে যে ট্রাকগুলো বিভিন্ন বন্দরে আটকে আছে এর পুরোটাই কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগের। টেন্ডার সম্পন্ন হয়েই সোমারের মধ্যে প্রায় ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দরগুলোতে অবস্থান করে। সরকার সোমবারই রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষমান এই ট্রাকগুলো আইনত অবমুক্ত করা উচিৎ ছিল বলে হারুন মনে করছেন।
পেট্রাপোল আমদানি রফতানি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, বিভিন্ন বন্দরে অপেক্ষমান ট্রাকের পেঁয়াজে ইতোমধ্যেই পচন ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই পেঁয়াজবাহী ট্রাকগুলো গত ৬-৭ সেপ্টেম্বর মোকাম থেকে লোড হয়ে সোমবার বন্দরে আবস্থান করে। সেই পেঁয়াজ ১৫ দিন পর্যন্ত বস্তাবন্দী অবস্থায় রয়েছে। এমনিতে পেঁয়াজ সহজেই পচনশীল পণ্য। তাই ব্যাবসায়ীরা এই পণ্যটি তারিখ হিসেব করেই লোড আনলোড করে। রোববার অফিস বন্ধ, সোমবার সরকারি আনুমোদন জারী না করা হলে পেঁয়াজ নিয়ে ব্যাবসায়ীরা সত্যিই খুব বিপাকে পড়বেন।
মাহাদিপুরের ক্লিয়ারিং এ্যান্ডফরোয়ার্ডিং এজেন্ট মিঠুন ভট্রাচার্য বলেন, গত সোমবার কলকাতাসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে রেলের ওয়াগানের মাধ্যমে ১৬৬ র্যাক পেয়াজ মহাদিপুর পৌছে। এই চালানের সমস্ত কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্বেও বাংলাদেশ প্রবেশ করতে পারেনি।
ট্রাক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও সাধারণ স¤পাদক লালজি সিং বলেন, সরকার পেঁয়েজের রফতানি বন্ধ করতেই পারে। কিন্তু হাতে সময় দেয়া উচিৎ ছিল।
ঘোজা ডাঙ্গার ব্যবসায়ী ইমরান কবির বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি স্থলবন্দরে আপেক্ষমান শত শত টন পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শনিবার একসাথে সবগুলো ট্রাকের অনুমোদন দেয়া হলে আনেকটাই শেষ রক্ষা হতো। সোমবার অনুমোদন না দিলে এত পেঁয়াজ রাজ্যের খোলা বাজারে বিক্রিরও সুযোগ নেই বলে ইমরান মনে করছেন।
দু’দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ‘সোমবার ছাড়পত্র স¤পন্ন না হলে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকারও বেশী লোকসান গুনতে হবে আমাদেরকে।’
ঘোজা ডাঙার ব্যবসায়ী ইমরান জানান, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের চার সিমান্তবর্তী স্থল বন্দরেই আটকে আছে প্রায় পাঁচ’শ গাড়ি। তিনি বলেন বাংলাদেশে যত পেঁয়াজ রফতানি হয় তার সিংহ ভাগই যায় পেট্রাপোল,ঘোজাডাঙ্গা, মালদার মাহিদপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে।
শনিবার ৫০ টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের পরেও এই মূহুর্তে ঘোজাডাঙ্গায় ১৫০, মাহাদিপুর ১৫০, পেট্রাপোলে ৮ ও হিলিতে ১৮০ টি পেঁয়াজভতির্ ট্রাক এবং রানাঘাট স্টেশনে তিনটি ওয়াগনে ১৬৫টি র্যাক বাংলাদেশ ঢোকার অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।