আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে অনাহারের মাত্রা বেড়েছে। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে অবনতি হয়েছে দেশটির। গতকাল শনিবার প্রকাশ করা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১২১টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান এখন ১০৭। গত বছর এই তালিকায় ভারতের অবস্থান ছিল ১০১। এই সূচকে বিশ্ব ও জাতীয় পর্যায়ে ক্ষুধার অবস্থা পরিমাপ করা হয়। বর্তমান হিসাব অনুযায়ী ভারতের অবস্থান আফগানিস্তান বাদে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি সব দেশের নিচে। রিপোর্টে ভারতের খাদ্যসংকটকে গুরুতর বলে বর্ণনা করা হয়েছে। খবর বিবিসি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের রিপোর্টটি ? যৌথভাবে তৈরি করে আইরিশ সংগঠন ‘কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ এবং জার্মান সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিল্ফে’। এই তালিকা তৈরির সময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে পাঁচটি স্তর রাখা হয়। যে দেশে ক্ষুধার পরিমাণ সবচেয়ে কম সেই দেশ ‘ভালো’ স্তরে জায়গা পায়। এর পর আছে মাঝারি, উদ্বেগজনক, ভীতিপ্রদ এবং অত্যন্ত ভীতিপ্রদ। এই তালিকা তৈরি হয় মূলত ক্ষুধা এবং অপুষ্টির সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।
চীন, তুরস্ক, কুয়েত-সহ ১৭টি দেশ রয়েছে এই তালিকার একেবারে ওপরে। তাদের সকলেরই ‘স্কোর’ পাঁচের কম। ২০২১ সালে ১১৬টি দেশের মধ্যে ভারত ছিল ১০১ নম্বরে। এবার তালিকায় রয়েছে ১২১টি দেশ। ভারত সেই তালিকায় ১০১ থেকে নেমে হয়েছে ১০৭। একই সঙ্গে ভারতের স্কোরও ক্রমান্বয়ে কমেছে।
২০০০ সালে ভারতের স্কোর ছিল ৩৮ দশমিক ৮। ২০১৪ থেকে ২০২২ এবং মধ্যে তা কমে হয় ২৮ দশমিক ২ থেকে ২৯ দশমিক ১-এর মধ্যে। এ বছর ভারতের স্কোর ২৯ দশমিক ১। ভারতের প্রতিবেশী নেপাল রয়েছে ৮১ নম্বর, বাংলাদেশ রয়েছে ৮৪ নম্বর স্থানে এবং পাকিস্তানের অবস্থান ৯৯তম। দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থা শ্রীলঙ্কার। তারা রয়েছে ৬৪ নম্বর স্থানে।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে, ভারতের এই অবনতিতে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছে বিরোধীদল কংগ্রেস। গত বছর এই রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছিল ভারত সরকার। এই রিপোর্টকে জঘন্য এবং বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন বলে অভিহিত করে খারিজ করেছিল মোদি সরকার। সরকারের দাবি ছিল, এই ধরনের সমীক্ষায় যে পদ্ধতি (মেথডোলজি) ব্যবহার করা হয় তা ভারতের মতো বিরাট বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশের ক্ষুধা পরিমাপের ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।