জুমবাংলা ডেস্ক: ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচার হওয়া ৭ বাংলাদেশি তরুণী দীর্ঘ দুই বছর সাজা ভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরেছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের কাছে তাদের হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ফেরত আসা তরুণীরা হলো, জারা আক্তার (২২), চম্পা বেগম (২৭), তুলি বিবি (২৪), রাবেয়া বেগম (২৭), মুন্নি খাতুন (১৭), কোহিনুর বেগম (৩৬) ও রিতা বেগম (২১)। এরা খুলনা, মাগুরা ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, দেশে ফেরত আসা এই ৭ বাংলাদেশি তরুণী দুই বছর আগে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায়। ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে এলাকায় অবৈধভাবে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে। সেখান থেকে পুলিশ তাদের জেল হাজতে পাঠায়। ভারতের আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেয়।
সেখান থেকে রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে নিজস্ব শেল্টার হোম তাদের রাখেন। ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘রিপেট্রিয়েশন’ এর মাধ্যমে তাদের আজ দেশে ফেরত আনা হয়।
তিনি আরও জানান, ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করে ৭ তরুণীকে পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মানবাধিকার সংস্থা যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ার ৪ জনকে ও রাইটস যশোর ৩জনকে হস্তান্তর করা হবে।
যশোর জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এবিএম মুহিত হোসেন জানান, তাদের যশোরে নিয়ে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।