আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) কার্যকর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, এই আইনের প্রয়োগ কীভাবে হয়, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) স্টেট ডিপার্টমেন্টে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার এ কথা জানান।
সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- ভারত একটি বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করেছে, যা মুসলিমদের বাদ দেওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে আপনার কোনো মন্তব্য আছে কি?
জবাবে মিলার বলেন, গত ১১ মার্চ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা এই আইনটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি- কীভাবে এই আইনটি বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং সকল সম্প্রদায়ের জন্য আইনের অধীনে সমান আচরণ হলো মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি।
ইন্ডিয়া টুডেসহ বেশিকিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ভারত সরকার গত ১১ মার্চ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করেছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা নথিবিহীন অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে এই আইন- যারা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে যান।
বিরোধী দলগুলির প্রতিবাদের মধ্যেই ভারত সরকার একটি বিবৃতি জারি করে যে, ভারতীয় মুসলমানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই- কারণ সিএএ তাদের নাগরিকত্বের স্থিতিকে প্রভাবিত করবে না।
এই আইন নিয়ে কেনো এত বিতর্ক?
ভারতের বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই আইনে যেহেতু মুসলিমদের উল্লেখ নেই, সেজন্য সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ আইনের ফলে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা ব্যাপক হারে ভারতে চলে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। তাছাড়া অসমে থাকা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদেরও (বাংলাভাষী) নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে। ফলে অসমের জনবিন্যাস বদলে যেতে পারে।
এদিকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ধারাবাহিকভাবে আশ্বস্ত করে চলেছে যে, এই আইনের ফলে দেশের কোনো নাগরিক তাদের নাগরিকত্ব হারাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।