জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দুই দেশের মধ্যে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ভারতে পৌঁছাল বাংলাদেশের ইলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সময় দুপুর আড়াইটা নাগাদ সমস্ত জটিলতার অবসান ঘটিয়ে বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে পৌঁছায় বাংলাদেশের ইলিশ বোঝাই প্রথম ট্রাক।
এদিন প্রথম পর্যায়ে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রবেশ করে প্রথম ইলিশের ট্রাক। প্রয়োজনীয় কাস্টমসের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় ইলিশের দ্বিতীয় ট্রাক ভারতের সীমান্তে পৌঁছায় বিকেল ৪টা নাগাদ। ভারতীয় ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন জানায় প্রথম চালানে দুটি ট্রাকে মোট ৮টন ইলিশ এসেছে ভারতে। পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে বৃহস্পতিবার জানানো হয় আমদানিকৃত ইলিশ আজ রাতের মধ্যেই পৌঁছে যাবে কলকাতার হাওড়া পাতিপুকুর ও বারাসাতের পাইকারি মাছের বাজারে। আগামীকাল সকাল থেকেই খুচরো বাজারে ক্রেতারা বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ কিনতে পারবেন।
প্রথম চালানে যে ইলিশ এসেছে সেগুলোর বেশিরভাগই ওজন এক কেজি বা তার কিছু বেশি। খুচরা পর্যায় যার দাম হতে পারে দুই হাজার রুপি বা তার কিছুটা বেশি।
অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে আরো জানানো হয়েছে, আগামী ২/১দিনের মধ্যেই আরও সাতটি ট্রাকে মোট ২৮ থেকে ৩০ টন ইলিশ আসবে ভারতে। আসন্ন দুর্গাপূজার আগে এই ইলিশ চাহিদার অনেকটাই সামাল দিতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন তারা। তবে ইলিশের আমদানি বাড়লে দাম কিছুটা কমবে বলেও আশাবাদী তারা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে চলতি মৌসুমে ইলিশ পাওয়া নিয়ে অচলাবস্থা ছিল ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে। সম্প্রতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভারতীয় ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয় মোহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্ভুক্তি সরকারকে। যে অনুরোধ ফেলতে পারেনি বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩০০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়া হয় ভারতকে। যার প্রথম চালান বৃহস্পতিবার ভারতে এসে পৌঁছলো। তবে পশ্চিমবঙ্গের বুকে কত দামে বিক্রি হবে বাংলাদেশের ইলিশ সে সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না এরাজ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে যোগান কম থাকায় এবার চড়া হতে পারে বাংলাদেশের ইলিশ মাছের দাম।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, এবছর গতবারের থেকেও কম ইলিশ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু যা খবর পাচ্ছি তাতে সেই পরিমাণ মাছও এবছর পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। কারণ, বাংলাদেশের নদীতেও সেভাবে মাছ ধরা পড়ছে না। ফলে অনুমতি থাকলেও সেই পরিমাণ ইলিশ সে দেশের ব্যবসায়ীরা পাঠাতে পারবে কিনা সে সম্পর্কে আমরা খুবই সন্দিহান।
সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, পাইকারি বাজারে মাছ নিলাম করে বিক্রি হয়। যা অবস্থা তাতে আমাদের ধারণা সেখানেই মাছ কেজি প্রতি ১৪০০ টাকা দামে বিক্রি হবে। এরপর খুচরো বাজারে যে যেরকম পারবে বিক্রি করবে।
স্বাভাবিকভাবেই পাইকারি বিক্রির দাম থেকে এই ইঙ্গিতই পাওয়া যায় প্রতিবেশী রাজ্যের ইলিশ এবছর খুচরো বাজারে চড়া দামে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।