আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে করোনা আবহের মধ্যে বার্ড-ফ্লু জনিত নয়া সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ওই বিষয়ে একাধিক রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশে বার্ড-ফ্লু’র ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। রাজস্থানে কাক, মুরগি ও ময়ূর মারা যাওয়ার ঘটনায় ঝুঁকি না নিয়ে রাজ্যের বন দফতরের পক্ষ থেকে বার্ড-ফ্লু অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। খবর পার্সটুডে’র।
ভারতে করোনা আবহের মধ্যে বার্ড-ফ্লু জনিত নয়া সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ওই বিষয়ে একাধিক রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশে বার্ড-ফ্লু’র ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। রাজস্থানে কাক, মুরগি ও ময়ূর মারা যাওয়ার ঘটনায় ঝুঁকি না নিয়ে রাজ্যের বন দফতরের পক্ষ থেকে বার্ড-ফ্লু অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
এছাড়া ঝাড়খণ্ড রাজ্যেও সতর্কতা জারি হয়েছে। রাজ্যের সন্দেহজনক অসুস্থ পাখির নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাঁচীর বীরসা কৃষি কলেজের পশু চিকিৎসক ডাঃ সুশীল প্রসাদ বলেন, ঝাড়খণ্ডে এখনও বার্ড-ফ্লু’র কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাখি আমদানি করা হয় বলে সতর্কতা জারি রয়েছে। বন্যপ্রাণী দফতর বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং মুখ্য ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন বার্ড ফ্লু অ্যালার্ট জারি করেছেন। যেহেতু মানুষের শরীরেও বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে, সেজন্য সমস্ত ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র, বন ও স্যাংচুয়ারির উপরেও নজরদারি করা হচ্ছে।
রাজস্থানের অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রির মুখ্যসচিব কুঞ্জিলাল মীনা বলেছেন, কোটা, যোধপুর, জয়পুরসহ একাধিক জেলায় ভাইরাস সংক্রমণের ফলে কাকের মৃত্যু হচ্ছে। বার্ড-ফ্লু ভাইরাসের সঙ্ক্রমণেই পাখি মৃত্যু হচ্ছে কী না তা খতিয়ে দেখতে নমুনা পরীক্ষায় এইচফাইভএন৮ ভাইরাসের স্ট্রেইনের খোঁজ পাওয়া গেছে। এরপরেই রাজ্যের প্রত্যেক জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রাজস্থানের অ্যানিম্যাল হাসব্যান্ড্রির সচিব আরুশি মালিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৭৫ টি কাকের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত পাখিদের সংস্পর্শে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। যেখান থেকে কাক মৃত্যুর খবর আসছে সেখানে দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার জলাশয়গুলোও পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে, মধ্য প্রদেশে মৃত পাখির নমুনাগুলো ভোপালের একটি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। ইন্দৌরের মৃত কাকের মধ্যে এইচ৫এন৮ ভাইরাস নিশ্চিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এইচ৫এন১ থেকে এইচ৫এন ৮ ভাইরাস আরও ক্ষতিকারক এবং আক্রমণাত্মক। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশে এক হাজার সাতশোর বেশি পরিযায়ী পাখি সন্দেহজনকভাবে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এটি হিমাচল প্রদেশসহ পার্বত্য রাজ্যের জন্য বিপদজনক। তদন্তে প্রকাশ, বার্ড-ফ্লু জনিত কারণে অভিবাসী পাখিদের মৃত্যু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।