স্পোর্টস ডেস্ক : জাতীয় দল তো বটেই, বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায়ও বাংলাদেশের প্রধান পথের কাটা ভারত। তাদেরকে হারিয়েই এবার যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ফাইনাল জয়ের পর বাধভাঙা উল্লাসে মাতেন শরীফুল-সাকিবরা। উদযাপনটা একটু বেশিই করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে শরীফুলদের এমন আচরণের পেছনে প্রতিশোধ স্পৃহা কাজ করেছে।
গত বছর যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতের কাছে মাত্র ৫ রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সামনে এসেই উল্লাস করতে থাকেন ভারতীয় যুব ক্রিকেটাররা। এর আগে ২০১৮’র যুব এশিয়া কাপের সেমিতে ভারতের কাছে ২ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ওদের সঙ্গে আমরা দুইবার কাছে গিয়ে হেরেছি।
একটা এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। তখন কেমন লেগেছে বলে বোঝানো যাবে না। এবার এই ম্যাচে নামার আগে শুধু অতীতের কথা মনে পড়ছিল যে ওরা আমাদের সঙ্গে কেমন করেছিল জেতার পর, আমাদের কেমন লেগেছিল হারার পরে। আমরা আর চাইনি আগের মতো হোক, মনে মনে বলেছিলাম এবার সেরাটা দিয়ে শেষ বল পর্যন্ত সব উজাড় করে দিব। আমাদের দেশে, ঢাকাতে ওদের কাছে আমরা হেরেছিলাম বোধহয় ১ রানে (আসলে ২ রানে)। আমাদের সামনে এসে ওরা এমন উদযাপন করেছে আমরা কিছু বলতে পারিনি। আমরা হেরে গেছি, আমাদের বলার কিছু ছিল না।’
ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেছে টাইগার যুবাদের। ভারত ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশি পেসার তানজিম সাকিব প্রতিপক্ষের ওপেনারকে স্লেজিং করেন। শরীফুলও ভারতের সেরা ব্যাটসম্যান যশস্বী জসওয়ালকে রাগানোর চেষ্টা করেন। সাকিব বলেন, ‘আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হলে এমন কিছু করতে হয়। ব্যাটসম্যানকে রাগান্বিত করা বা তার ভেতরে এমন কিছু দিতে হয় যাতে সে আমাকে মারতে আসে। তখন যাতে উইকেটটা যায়। আর ভারতের সঙ্গে খেলতে আলাদা একটা ঝাঁজ থাকে। ওদের সঙ্গে প্রতিশোধের একটা ব্যাপার থাকে।’
অতি আগ্রাসী আচরণে শাস্তিও পেতে হয়েছে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটারকে। অন্যদিকে ভারতের শাস্তি পেয়েছেন দুজন। বেশ কয়েকটি ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন এই পাঁচ ক্রিকেটার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।