ভারত সরকার চাল রফতানিতে নতুন নিয়ম জারি করেছে, যার ফলে বাংলাদেশে চাল আমদানির গতি কমতে পারে এবং খরচ বেড়ে বাজারে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, নন-বাসমতি চাল রফতানির জন্য ভারতীয় রফতানিকারককে আগেই কৃষি ও খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (APEDA) থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এই নতুন নির্দেশনা জারি করেছে, যা আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে। নির্দেশনার আওতায়, যে সমস্ত চাল ইতিমধ্যেই ঋণপত্রের মাধ্যমে টেন্ডার করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য এই নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তবে নতুনভাবে খোলা যেসব ঋণপত্র তৈরি হবে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক হবে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক দীনেশ পোদ্দার জানিয়েছেন, “আগে এলসি খোলার সঙ্গে সঙ্গে চাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতো, কিন্তু এখন এলসি খোলার পর ভারতীয় রফতানিকারককে APEDA অনুমোদন নিতে হবে। অনুমোদন সম্পন্ন না হলে ট্রাকগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এবং ডেমারেজ চার্জ দিতে হবে। ফলে আমদানির গতি ধীর হবে এবং খরচ বেড়ে যাবে। এটি বাজারে চালের দাম বাড়াতে পারে।”
এই নতুন বিধির ফলে আমদানিকারকরা আশা করছেন, বাংলাদেশের বাজারে চালের সরবরাহে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হবে। বিশেষত নন-বাসমতি চালের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া আগের তুলনায় সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।