জুমবাংলা ডেস্ক: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের গভীর সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বহিঃপ্রকাশ মৈত্রী দিবস ২০২১।’
o
0
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের পঞ্চাশ বছর উদযাপন উপলক্ষে ‘মৈত্রী দিবস ২০২১’অনুষ্ঠানে প্রধান হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।o
0
স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও এদেশের জনগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ও অবদান সর্বদা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমন্বিত প্রচেষ্টায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
দারিদ্র্য, অসমতা ইত্যাদি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সমাধানে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে অতীতের ন্যায় ভারত-বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।o
0
এসময় স্পিকার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে মরণোত্তর পদ্মভূষণ পুরস্কার, এনামুল হককে পদ্মশ্রী পুরস্কার, ল্যাঃ কর্নেল (অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলীকে পদ্মশ্রী পুরস্কার ও সানজিদা খাতুনকে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রদান করেন।o
0
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। কোভিডকালীন সময়ে তার দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও অকৃত্রিম প্রতিবেশী বন্ধু। ভারতই প্রথম রাষ্ট্র যা ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হবার পূর্বেই ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারকরণে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।o
0
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এদেশ সফর ভারত-বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে জোরদার করেছে। ভারত ও বাংলাদেশ একই সীমান্ত ব্যবহারের পাশাপাশি ৫৪টি সাধারণ নদী ব্যবহার করে থাকে। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সন্ত্রাস দমন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে। গঙ্গা পানিচুক্তি, তিস্তা পানিবন্টনসহ আরো কিছু বিষয়ে উভয় দেশের সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।o
0
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দ্বোরাইস্বামীর সভাপতিত্বে ও শেখ নাজিয়া জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন , শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী এমপি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান, তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী ও সালমান এফ রহমান, হুইপ ইকবালুর রহিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।o
0
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।