আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার জন ফাইনার জানিয়েছেন, ‘ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত বাণিজ্যসামগ্রী ও অশোধিত তেল যাবে। ভারত ও সৌদি আরব ছাড়াও আমিরাত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রকল্পে সামিল হবে।’
ফাইনার বলেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরে দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক আলোচনা হয়েছে। এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা শেষ হতে কতদিন লাগবে, তা আমি জানি না।’
জি-২০-তে এই প্রকল্পের বিষয়ে একমত হওয়াটা খুবই বড় বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে।
ফাইনার বলেছেন, ‘জি-২০তে কে আসছেন, কে আসছেন না, তা নিয়ে আপনারা অনেক কিছু লিখে ফেলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফোকাস কোনদিকে সেটা নিয়েও প্রচুর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ঘটনা হলো, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এখানে বাকি বিশ্বনেতাদের সাথে বসে ফলপ্রসূ আলোচনা করতে চান।’
এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর শুক্রবার রাতে যৌথ বিবৃতিও জারি করা হয়েছে।
বাইডেন জানিয়েছেন, জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য ভারতের দাবি তিনি সমর্থন করেন। ২০২৮-২৯ সালে ভারত আবার নিরাপত্তা পরিষদে নন-পার্মানেন্ট সদস্য হবে। তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন বাইডেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, জি-২০-র পর ২০২৪ সালে ভারতে কোয়াডের শীর্ষ বৈঠক হবে। সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
কোয়াডে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ছাড়া আছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। মূলত, চীনের প্রভাবের মোকাবিলা করার জন্যই একজোট হয়েছে এই চার দেশ।
ভারতের প্রদানমন্ত্রী মোদিও বলেছেন, কোয়াডের শীর্ষ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বাইডনকে স্বাগত জানাবার জন্য তিনি মুখিয়ে আছেন। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক ওশানস ইনিশিয়েটিভে (আইওপিআই) যোগ দিয়েছে এবং যৌথভাবে নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন মোদি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।