জুমবাংলা ডেস্ক : আবার চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে সামনের ৭ দিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিলেটে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে বন্যা। সেখানে দু’দফা বন্যার ক্ষত সারানোর আগেই তৃতীয় দফা বানের কবলে পড়ছেন লাখ লাখ মানুষ।
রোববার (২ জুলাই) রাত থেকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদনদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানি বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় সিলেট অঞ্চলে দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়েছে।
উত্তরের জনপদেও বাড়ছে পানি। মাঝ আষাঢ়ে যে বর্ষণ চলছে, তা সপ্তাহজুড়ে চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর তাতে নদীর পানি বেড়ে দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা সতর্কীকরণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র।
সোমবার এক দিনেই সিলেটের বিভিন্ন নদীর ১০ পয়েন্টের মধ্যে চারটির পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সুরমা নদীর গোলাপগঞ্জ এলাকা, জৈন্তাপুরের বড়গাঁঙ নদী, পিয়ান ও সারি নদীর বিভিন্ন এলাকায় পানি বেড়ে লোকালয়ে ঢুকতে দেখা গেছে। দু’দিনে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানিয়েছেন, বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে। পানি বাড়তে থাকলে আবারও বন্যা হবে।
জেলার তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর-বালিজুড়ি রাস্তা, শক্তিয়ারখলা ১০০ মিটার রাস্তা ও লালপুর সড়কটি এখন ৩ ফুট পানির নিচে। এ রাস্তায় চলাচলকারী লোকজন নৌকা কিংবা বিকল্প যানবাহনে চলাচল করছেন। তাহিরপুরে বানের পানিতে ডুবেছে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মৌলভীবাজারের সীমান্তঘেঁষা জুড়ী নদীর (জুড়ী-ভবানীপুর) পানি বিপৎসীমার ১৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে কুশিয়ারা নদীর মৌলভীবাজার অংশের শেরপুর পয়েন্টে উজানের ঢলের প্রভাবে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে জেলার মনু-ধলাই নদীর পানি বাড়ছে। তবে এ দুই নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।