আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীর অনেক দেশেই বিয়ের পূর্বশর্ত হিসেবে ভার্জিনিটি টেস্ট বা ‘সতীত্ব পরীক্ষা’ করা হয়ে থাকে। অনেক সম্প্রদায়ে নারীর ‘পবিত্রতার’ সূচক হিসেবে দেখা হয় সতীত্বকে। সেকারণে পবিত্রতার ‘প্রমাণ’ হিসেবে ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে সতীত্ব পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। তবে এই পরীক্ষাকে নিষিদ্ধ ঘোষণার বিষয়ে ভাবছে ফ্রান্স সরকার। তবে তা করা হলে মুসলিম নারীরা সহিংসতার শিকার হতে পারেন বলেও ধারণা করছেন অনেকে।
ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ভার্জিনিটি সার্টিফিকেট ব্যান করার বিষয়টি আলোচনায় এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, একটি দেশে বিয়ের জন্য সতীত্বের পরীক্ষার দরকার হতে পারে না।
বাংলাদেশে ‘ভার্জিনিটি টেস্ট’ বা ‘সতীত্ব পরীক্ষা’ নিষিদ্ধ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশে তা এখনো বৈধ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই পরীক্ষাকে অবৈজ্ঞানিক বলেছে। তারা এও বলেছে এটা মানবিকতা বহির্ভূত কাজ এবং এবং এতে ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে।
ফ্রান্সের ডাক্তার এবং মুসলমান নারীবাদীরাও এই অভ্যাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তবে তাদের কেউ কেউ এটাও বলেছেন, ম্যাক্রো রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করতে পারেন।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, যেসব ডাক্তার সতীত্ব পরীক্ষার সার্টিফিকেট ইস্যু করবেন তাদেরকে এক বছরের জেল দেওয়া হবে। এছাড়াও পনের হাজার ইউরো জরিমানাও রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকদের অনেকেই এখনো সতীত্বের সার্টিফিকেট দিয়ে ধর্মীয় বিয়ে করাচ্ছেন। আমরা এখুনি খাতাকলমে সতীত্ব পরীক্ষা ব্যান করছি না তবে শাস্তির বিধান রাখার জন্য সুপারিশ করেছি।
ফ্রান্সে সতীত্ব পরীক্ষা নিয়মের প্রসার কতটুকু তা সম্পর্কে খুব একটা বেশি জানা যায় না। তবে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে খুব অল্পসংখ্যক ঘটনায় এমন সার্টিফিকেটের চাহিদা রয়েছে।
সূত্র- আলজাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।