আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইংল্যান্ডের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন তাঁর নাম ধরে ডাকলেন, উচ্ছাস নিয়ে শিক্ষা জীবনের স্বীকৃতি নিতে হাজির হন আগ্নে৷
তখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে মূল মঞ্চে হাজির হলেন তাঁর প্রেমিক এডগারাস আভেরবাকুস৷ বিস্ময়ে বিমূঢ় সবাই৷ প্রেমিকের কাণ্ড দেখে হতবিহ্বল আগ্নে নিজেই৷ প্রেমিকার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন প্রেমিক৷ আংটি বাড়িয়ে দিয়ে প্রেমিকার কাছে সমর্পণ করেন নিজেকে৷
করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা হলরুম৷ আগ্নেও গ্রহণ করলেন নয় বছরের প্রেমিক এডগারাসের ভালোবাসা৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পরিবার-পরিজন, বন্ধু–সবাই সমর্থন জানালেন এই যুগলকে৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের ট্যুইটারে ছেড়েছিলেন ভিডিওটি৷ ভালোবাসার জয়কে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তাঁরা৷
বাধ সাধলেন নারীবাদীরা৷ তাঁদের দাবি, আগ্নের শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মূহূর্তকে ম্লান করে দিয়েছে প্রেমিকের ‘পুরুষশাসিত’ আচরণ৷ তাঁরা দাবি করলেন, একজন নারীর শিক্ষাজীবনের অসাধারণ মূহূর্তকে ভালোবাসার নামে ‘ছিনতাই’ করেছে তাঁর প্রেমিক৷ নারীবাদীদের দাবির মুখে ভিডিওটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়৷

সমালোচনা যতোই হোক, ভালোবাসার মানুষের পক্ষ নিয়েছেন আগ্নে৷ নিউ ইয়র্ক পোস্টকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘এটা কি খুবই অদ্ভুত ঘটনা! অনেকেই এডগারাসের সমালোচনা করছেন৷ কিন্তু আমি মনে করি, সে আমার দিনটিকে আরো সুন্দর করে তুলেছিল৷” খবর-ডয়চে ভেলে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।