শোবিজে এক যুগ পার করেছেন। নৃত্য, নাটক, চলচ্চিত্র, উপস্থাপনা—সব মাধ্যমেই আছেন মিম চৌধুরী। এ সপ্তাহে মাছরাঙা টেলিভিশনে শুরু হয়েছে তাঁর অভিনীত নতুন ধারাবাহিক ‘শাদি মোবারক’। কালের কণ্ঠের নেওয়া মিমের সাক্ষাৎকারটি এখানে হুবহু দেওয়া হলো-
বৃষ্টির দিন। নিশ্চয়ই অলস সময় কাটছে?
একদমই না। বৃষ্টির দিনে অনেকে গান শোনেন, গল্পের বই পড়েন, চা-বিস্কিট খান। আমি সেই সময় পাই না।
আটটা বিড়াল আছে আমার। অবসর পেলেই ওদের আলাদা করে যত্ন নিই। এমনিতে আমি বাসায় না থাকলে মা ও ভাই ওদের দেখাশোনা করে। তবে বাসায় থাকলে তাদের আলাদা করে সময় দিই। এসবের পর সময় বের করতে পারলে রান্না করতে পছন্দ করি।
‘শাদি মোবারক’-এ কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শক এটি পছন্দ করার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। মোশাররফ করিম ভাই, আ খ ম হাসান ভাই ও শামীম হাসান ভাই—তিনজনের নির্দিষ্ট ভক্ত আছে। দীর্ঘদিন পরে তাঁরা তিনজন একসঙ্গে ফিরলেন।
সেই সঙ্গে ধারাবাহিকটির গল্পও খুব সহজ-সরল। দর্শক খুব দ্রুত বুঝতে পারে। এ ছাড়া নতুন প্রজন্মের আমরা তো আছিই। সবে প্রথম সপ্তাহ প্রচার শুরু হয়েছে। আরো দুই-তিন সপ্তাহ গেলে ধারাবাহিকটি নিয়ে শোরগোল পড়ে যাবে—এমনটা আমার ধারণা।
রিয়ালিটি শো ‘নাচো বাংলাদেশ নাচো’ দিয়ে এক যুগ আগে শোবিজে পা রেখেছিলেন। সেই নাচ থেকে কি দূরেই সরে গেলেন?
প্রায় দেড় বছর একটু দূরেই ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে কোথাও নাচের প্রোগ্রাম সেভাবে হচ্ছে না। দেশের বাইরে একটা সময় প্রচুর নাচের অনুষ্ঠান করতাম। এখন সেটা হচ্ছে না। তবে গত মাস থেকে শিবলী মহম্মদ স্যারের কাছে আবার তালিম নিতে শুরু করেছি। নতুন করে নাচটা আবার করতে চাই।
উপস্থাপনায় নতুন কী করছেন?
পাঁচ বছর ধরে বাংলাভিশনে একটি অনুষ্ঠান করছি, গ্লোবাল টেলিভিশনেও গানের প্রোগ্রামটা নিয়মিত করছি। এ ছাড়া বিভিন্ন উৎসবে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য টিভি চ্যানেলে উপস্থাপনা করতে হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন করপোরেট শোতেও ডাক পাই।
এক যুগের অভিনয়জীবনে বহু অভিনেতার সঙ্গেই অভিনয় করেছেন। তাঁদের নিয়ে কিছু বলবেন?
আমার ভাগ্যটা খুব ভালো। ছোটবেলা থেকেই আমার প্রিয় অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ। আমার প্রথম নাটকে তাঁকেই সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি। এরপর মোশাররফ করিম ভাই, চঞ্চল চৌধুরী ভাই, তারিক আনাম খান স্যার, আজিজুল হাকিম স্যার—সবার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। ‘গুলশান এভিনিউ ২’ ধারাবাহিকের সময় যখন তারিক আনাম স্যার আমাকে নিলেন খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। কাজ করতে গিয়ে তাঁর স্নেহভাজন হতে পেরেছি।
একটিই ছবি করেছেন—‘ভালোবাসা এক্সপ্রেস’ (২০১৪)। ছবিটিতে আপনার নায়ক শাকিব খান। এরপর আর ছবি করলেন না কেন?
আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। হঠাৎ করেই ছবিটির প্রস্তাব পেলাম। মা-বাবা রাজি হলেন, আমিও শুটিং করলাম। ছবিটির পেছনে প্রায় পাঁচ-ছয় মাস সময় দিতে হয়েছিল। এতে করে পড়াশোনায়ও একটা বিরতি পড়ে গেল। এরপর মা-বাবা বললেন, আগে পড়াশোনা, তার পর ক্যারিয়ার। আর কোনো ছবিতে অভিনয় করা যাবে না। আমিও সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিলাম। পরে ইংরেজিতে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছি। তাই এখন শোবিজে পুরোপুরি সময় দিতে পারছি। এখন আবার ভালো প্রস্তাব এলে ছবিতে অভিনয় করতে রাজি আছি।
এখন হাতে কী কী কাজ আছে?
ধারাবাহিক ‘শাদি মোবারক’ তো আছেই। এ ছাড়া ‘রঙিলা পুতুল’ ও ‘সাত কিলো এক গ্রাম’ নামে আরো দুটি ধারাবাহিকের শুটিং করছি। কাল থেকে করব কয়েকটি একক নাটকের শুটিং। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রের প্রস্তাবও পেয়েছি। শিডিউলে মিললে করব।
অভিনয়-মডেলিংয়ের পাশাপাশি অন্য কোনো পেশায় যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা আছে?
মাঝখানে তো ইউএস বাংলায় কেবিন ক্রু হিসেবে যোগ দিয়েছিলাম। কিছুদিন চাকরি করার পর মনে হয়েছে এই কাজ আমাকে দিয়ে হবে না। তবে ইচ্ছা আছে শিক্ষকতা করার। এই পেশা আমাকে খুব টানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।