জুমবাংলা ডেস্ক : ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বিশেষ অবদান রয়েছে। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বিকাশে কাজ করে গেছেন। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এবং ভাষা আন্দোলন গবেষক গোলাম কুদ্দুস এ কথা বলেছেন।
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ইউনিভার্সিটির নবনির্মিত শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টায় দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আলী আজ্জম। মূল আলোচক ছিলেন গোলাম কুদ্দুস। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মো. আজিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ও বাংলা ভাষা উচ্চারণ প্রশিক্ষক রূপশ্রী চক্রবর্তী। আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে একটি প্রভাতফেরী নিয়ে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, সদস্য, উপাচার্য, শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।
গোলাম কুদ্দুস বলেন, আজন্ম মাতৃভাষাপ্রেমী বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্ব এবং পরবর্তী সময়ে আইনসভার সদস্য হিসেবে ও রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে প্রকাশিত প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও বইপত্রে অনেক তথ্য বাদ দেয়া হয়েছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করে দেখা হয়েছে। অথচ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এ আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের সত্যতাই প্রমাণিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ পরিচালক সাজেদ ফাতেমী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।