জুমবাংলা ডেস্ক: বিনম্র শ্রদ্ধা এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনতার ঢল নেমেছে। শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার দলীয় প্রধান হিসেবে নেতাকর্মী এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তাদের পরে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ দলীয় নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
তিন বাহিনীর প্রধানেরা পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানান পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
পর্যায়ক্রমে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কূটনীতিক, সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় পার্টির নেতারা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি শহীদ মিনারে তাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে।
এরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সহযোগী সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করে।
রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, কূটনীতিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শূন্যপদে, ভাষার গান গেয়ে উপস্থিত হন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বর্ণিল আলপনা আঁকা শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। মর্যাদাপূর্ণ ও প্রীতিময় পরিবেশে অগণিত মানুষের ভালবাসার অর্ঘ্যে ভরে ওঠে স্মৃতির মিনারের বেদিমূল।
এদিকে ২১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ছুটির দিন। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।