জুমবাংলা ডেস্ক : ‘চল চল ভাসানচর চল’ স্টিকারযুক্ত ৩০টি বাসে করে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের নেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রামে। সেখান থেকে নৌপথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে করে তাদের পাঠানো হবে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্রে। আজ শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টা এবং বিকাল ৩টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে চট্টগ্রামের পথে তাদের নিয়ে রওনা দিয়েছে ৩০টি বাস। এসব বাসে প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গা রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ সামছু-দৌজা জানান, তৃতীয় দফায় (প্রথম অংশের) এক হাজার ৭৭৮ জন রোহিঙ্গা শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে। এছাড়া একই দিন ৩০টি বাসে করে আরও দেড় হাজার রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছেন। তারা রাতে চট্টগ্রামে থাকবেন। শনিবার সকালে জাহাজে করে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হবেন তারা।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। শিবিরগুলোতে চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।