পিটিয়ে হত্যার দায়ে ফরিদের বড় দুই ভাই মফিজুল ইসলাম খান নান্না, শাহ আলম ও ভাতিজা সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর ভাই মজিবর রহমান, দোকানের ভাড়াটিয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দা কাজাজকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ।
নিহতের বাবার নাম এমএ মজিদ খান (মৃত)। তাদের বাড়ির নাম জেসমিন ভিলা।
ফরিদের ছোট ভাই জিয়াউর রহমান খান জানান, তারা মোট ১০ ভাই ও তিন বোন। সবার নামেই সম্পত্তি আছে। তবে তার নিহত ভাই বাড়ির সামনে থাকা একটি দোকান ভাড়া দিয়েছিলেন। কাজাজ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে ‘কাতার থাই অ্যালুমিনিয়াম ফেব্রিকেটর’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। জিয়াউরের অভিযোগ, দোকান ভাড়া নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ সৃষ্টি করেন কাজাজ। আজ সকালে দোকান ভাড়া তুলতে যান ফরিদ। এ সময় ভাড়াটিয়া কাজাজের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।
জিয়াউর আরও জানান, বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে কাজাজ তার অপর দিন ভাই মফিজুল ইসলাম খান নান্না, শাহ আলম, মজিবর রহমান এবং তাদের ভাতিজা সিয়ামকে ডেকে নিয়ে যান। তাদের সঙ্গেও ফরিদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ফরিদের ওপর হামলা করেন তারা।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদ হোসেনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যান অন্য ভাইরা। সেখানে নেওয়ার পর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফরিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে নিহত ফরিদের পরিবার। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার দুই ভাই ও ভাতিজা সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম।
ওসি বলেন, ‘দোকান ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।