বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ১ দশক ধরেই ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফাইভজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের ফলে বিশ্বব্যাপী ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের প্লাটফর্ম আরো সম্প্রসারণ হবে। এতে গণমাধ্যমগুলোও যাচ্ছে রূপান্তরের মধ্য দিয়ে। ডিজিটালাইজেশনের দ্রুত বিস্তার এবং মিডিয়াগুলোর বিজ্ঞাপন আয় কমে যাওয়ায় ভিডিও কনটেন্টের দিকেই মনোযোগ গণমাধ্যমের। ভিডিও কনটেন্ট সর্বস্তরের মানুষের কাছে সহজে পৌঁছাতে পারায় অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন ভিডিওতেই ভবিষ্যৎ মিডিয়ার। এক্ষেত্রে বেশকিছু ইস্যু প্রভাবকের ভূমিকা রাখবে—
বার্তা প্রদানের শক্তিশালী মাধ্যম ভিডিও: প্রকাশকদের জন্য চমত্কার টুল হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিডিও। দর্শকের বা ভোক্তার কাছে একেবারে সরাসরি সুস্পষ্ট বার্তা পৌঁছাতে ভিডিও সেরা। ভিডিওর মাধ্যমে শেয়ার কোনো মেসেজের ৯৫ শতাংশ অনুধাবন করতে পারে দর্শকরা। বিপরীতে লিখিত বা প্রিন্ট কনটেন্টের ১০ শতাংশ তথ্য ধারণ করতে পারে কোনো পাঠক। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, কোনো পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে আর্টিকেল, ইনফোগ্রাফ, ই-বুক কিংবা কোনো প্রেজেন্টেশনের চেয়ে ভিডিওতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে ৬৮ শতাংশ ভোক্তা। এ কারণে কোনো মিডিয়া হাউজই চাইবে না সম্ভাবনাময় এ সেগমেন্ট থেকে দূরে থাকতে।
ভিডিও এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি: মিডিয়া-সংশ্লিষ্টরা চান তাদের কনটেন্ট অধিক মানুষের কাছে পৌঁছাক এবং তা নিয়ে ভোক্তারা আলোচনা-সমালোচনা করুক। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় টেক্সট কনটেন্টের চেয়ে ভিডিও কনটেন্টে এনগেজমেন্ট বাড়ছে। এজন্য সব গণমাধ্যমই ভিডিওতে ফুট প্রিন্ট বাড়াচ্ছে। অডিওনির্ভর রেডিও কিংবা বিভিন্ন জনপ্রিয় পডকাস্টের অডিও কনটেন্টের পাশাপাশি ভিডিও কনটেন্ট সরবরাহ বেড়েছে। টিকটক ও ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে যেকোনো কনটেন্ট, যেকোনো মেসেজ দ্রুত ছড়িয়ে দেয়ার সক্ষমতায় গণমাধ্যমগুলো ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে এসব প্লাটফর্মের ওপর আরো বেশি নির্ভরশীল হবে। প্রথাগত মিডিয়া ও টেলিভিশনের চেয়ে এসব প্লাটফর্মে মানুষের ওয়াচ টাইম বৃদ্ধিতে এটা স্পষ্ট, আগামী দিনে ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্মগুলো আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
যদি ভিডিও প্রডাকশন কোম্পানি না থাকে তাহলে কী করণীয়: ভিডিও নির্মাণ করা এবং তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এডিট করা হয়তো অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। কিন্তু আপাত বড় এ সংকটের সহজ সমাধান নিয়ে এসেছে অনেক টুলস। সঠিক ভিডিও তৈরির টুলস ব্যবহার করে অল্প পরিশ্রমেই তৈরি করা যাবে বেশ ভালো মানের ভিডিও। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরির জন্য রয়েছে ভিডিও ক্রিয়েশন সফটওয়্যার। ট্রুভিডের মতো মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেখান থেকে ভিডিও কনটেন্ট ক্রয়-বিক্রয় করা যায়।
ভিডিওতে কেন প্রকাশকদের বিনিয়োগ জরুরি: ভিডিও কনটেন্ট তৈরিকে বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে প্রকাশকদের। ভিডিও যে অনলাইন কনটেন্টের ভবিষ্যৎ তা টিকটক দেখিয়ে দিয়েছে। প্রকাশকরা যতই এ সেগমেন্টে বিনিয়োগ বাড়াবেন, দীর্ঘমেয়াদে তারা ততই সুবিধা করতে পারবেন। গ্রাহকরা অধিকাংশ সময় ভিডিওতে কাটানোর ফলে স্রেফ টেক্সটনির্ভর কনটেন্ট দিয়ে এগোনোর সুযোগ সীমিত। টিকটক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও স্ন্যাপচ্যাটের প্রধান ফিচার হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিডিও। গ্রাহক এনগেজমেন্টে সেগমেন্টেই সর্বাধিক। ট্রুভিডের সিইও রুই লিখেনফেল্ড বলেন, সঠিক কনটেন্ট সঠিক ফরম্যাটে ভোক্তাদের কাছে উপস্থাপন করতে পারলে যেকোনো মিডিয়ার ভবিষ্যৎ আশাব্যঞ্জক। টেক টাইমস অবলম্বনে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।