স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি ভিভো তার উদ্ভাবনী ধারণা দিয়ে প্রযুক্তির দুনিয়ায় আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। একটি উড়ন্ত ক্যামেরা ড্রোনের সাথে একীভূত ফোন। কেনার জন্য এখনও বাজারে ছাড়া না হলেও এই ধারণাটি মোবাইল ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির জন্য একেবারে অনন্য। আসুন ভিভোর ড্রোন ফ্লাইং টেকনোলজির প্রযুক্তিগত দিক এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিবেচনা করে দেখি।
একটি পৃথক ড্রোনের সাহায্য ছাড়া দূর থেকে রেকর্ডিং করা সম্ভব। Vivo এর ফ্লাইং ক্যামেরা ফোন স্মার্টফোন এবং ড্রোনের নির্বিঘ্ন ইন্টিগ্রেশন করে থাকে। একটি ছোট বিচ্ছিন্নযোগ্য কোয়াডকপ্টার ড্রোন ফোনের মধ্যে রাখা হবে, এবং ফোনের অ্যাপের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এটি একটি পৃথক ড্রোন এবং কন্ট্রোলারের প্রয়োজনীয়তা দূর করে, এরিয়াল ফটোগ্রাফিকে আরও সহজ করে তোলে।
ভিভোর ড্রোন ক্যামেরার সম্ভাবনা ব্যাপক। ফটোগ্রাফাররা প্যানোরামিক ল্যান্ডস্কেপ, স্থাপত্যের বিবরণ সব এটি দিয়ে ক্যাপচার করতে পারবে। ভিডিওগ্রাফাররা গতিশীল শট তৈরি করতে পারে যা সৃজনশীল প্রকল্পের জন্য বেশ আদর্শ। উপর থেকে গ্রুপ সেলফি বা পাখির চোখের দৃশ্য ছবির মান বৃদ্ধি করবে।
বিষয়টি বেশ দুর্দান্ত মনে হলেও এটি প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে। ফোনের মধ্যে ফিট করার জন্য ড্রোনটির সাইজ ছোট করার বিষয়টি একটি উল্লেখযোগ্য বাধা। ফোন এবং ড্রোন উভয়ের জন্যই ব্যাটারি লাইফের বিশেষ অপ্টিমাইজেশন প্রয়োজন। নিরাপদ ফ্লাইটের জন্য wind resistance, signal stability এর প্রতিকূলতা দূরীকরণের প্রয়োজন হবে।
ড্রোনের এসব বিষয় অঞ্চলভেদে ভিন্নরকম হতে পারে। বাধা শনাক্তকরণ এবং পুনরায় ব্যাক করার মতো বিষয় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। দায়িত্বশীল ড্রোন উড্ডয়ন অনুশীলনও বেশ অপরিহার্য। শুধু আপনার ফোন দিয়ে প্রফেশনাল aerial footage ক্যাপচার করার বিষয়টি ভাবুন। AI এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড ফ্লাইট প্যাটার্ন এবং শট কম্পোজিশনের মতো বৈশিষ্ট্য চমক তৈরি করতে পারে।
ভিভোর প্রযুক্তিতে ফটোগ্রাফির বাইরেও অ্যাপ্লিকেশন থাকতে পারে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে লাইভ স্ট্রিমিং, প্যাকেজ অনুসন্ধান এবং উদ্ধার মিশনে সহায়তা হতে পারে এর মাধ্যমে। এই সম্ভাবনাগুলি মোবাইল কন্টেন্ট তৈরি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।