জুমবাংলা ডেস্ক : স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভিভোর বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকারে গ্রাহকের করা প্রতারণার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। তাৎক্ষণিকভাবে প্রতারণার শিকার অ্যাডভোকেট মাসুদ হাওলাদারকে একটি মোবাইল সেট দেয় ভিভো কোম্পানি।
সোমবার (১১ এপ্রিল) উভয় পক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভিভো কোম্পানির বরিশাল প্রতিনিধিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নির্দেশে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী গ্রাহককে জরিমানা স্বরুপ নতুন মোবাইল ফোনসেট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেসাথে পুরনো ফোনটি সার্ভিসিং করে করে ভুক্তভোগীকে দিতে বলা হয়। সার্ভিস সেন্টারে গ্রাহকের অভিযোগ লিখিত আকারে রেখে তা সমাধান করে দেয়ার অঙ্গীকারনামাও দেন ভিভো মোবাইল সেট কোম্পানির বরিশালের প্রতিনিধি।
জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বরিশাল জেলা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মাসুদ হাওলাদার নগরীর বগুড়া রোডস্থ স্মার্ট ফোন সেন্টার থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকা মূল্যমানের ভিভো ব্র্যান্ডের একটি মোবাইল সেট কিনেন। কিন্তু এর তিনদিন পরই সেটটিতে ত্রুটি দেখা দেয়। তিনি বিক্রেতার কাছে গেলে তারা তাকে ভিভো কোম্পানির কাস্টমার কেয়ারে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই মোতাবেক ওই আইনজীবী নগরীর সদর রোডস্থ ফাতেমা সেন্টার নামক ভবনে অবস্থিত কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে গ্যারান্টির শর্তানুযায়ী সেটটি পরিবর্তন করে দেয়ার দাবি জানান। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত কর্মচারীরা তাতে কোন গুরুত্ব না দিয়ে কিছু সময় পরে সেটটি ফেরত দিয়ে জানান ত্রুটির সমাধান হয়ে গেছে। এরপরও সেট কেনার ৫ মাসের মধ্যে সেটটিতে আরো তিনবার একই ত্রুটি দেখা দেয়। চতুর্থবার ত্রুটি নিয়ে গেলে ভিভোর কাস্টমার কেয়ারের কর্মচারীরা এটি আর সমাধান করতে পারবে না বলে ক্রেতাকে জানিয়ে দেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মোবাইল সেটটিতে আবারো সমস্যা দেখা দিলে সেটি নিয়ে ওই আইনজীবী স্মার্ট ফোন সেন্টারে যান। সেখানে কর্মরত ভিভো কোম্পানির কর্মচারী সাব্বির ও দোকান মালিক আল অমিন তাকে মোবাইল সেটের সমস্যা সমাধানে অস্বীকৃতি জানান।
ভিভো মোবাইল সেট কোম্পানি ও বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে গত ৩ মার্চ ক্রেতা মাসুদ হাওলাদার ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকারে বরিশাল জেলা কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ভিভো মোবাইল সেট কোম্পানির বিরুদ্ধে নোটিশ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া।
সে অনুযায়ী ভিভো মোবাইল সেট কোম্পানির বরিশালের উপ-মহাব্যবস্থাপক রুহুল আমিন, সার্ভিসিং সেন্টারের প্রতিনিধি ও মোবাইল সেট বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান স্মার্টফোন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আল আমিন ১১ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হন।
এসময় শুনানিতে উভয় পক্ষ অংশগ্রহণ করেন। শুনানিতে গ্রাহক সেবা দিতে ভিভো মোবাইল ফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ফলে প্রতারণার শিকার ওই ভুক্তভোগী গ্রাহককে সমমূল্যমানের সেট ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া। সেসাথে সার্ভিস সেন্টারে গ্রাহক সেবায় পরিবর্তন আনার নির্দেশনাও দেন তিনি।
এসময় সার্ভিস সেন্টারে গ্রাহকের অভিযোগ লিখিত আকারে রেখে তা সমাধান করে দেয়ার অঙ্গীকারনামা দেন ভিভো মোবাইল ফোন কোম্পানির বরিশালের প্রতিনিধি। আর তাৎক্ষণিকভাবে প্রতারণার শিকার অ্যাডভোকেট মাসুদ হাওলাদারকে একটি মোবাইল সেট ফেরত দেয় ভিভো কোম্পানি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।