সাধারণ মানুষ আমাজনকে শুধু ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জানে। কিন্তু বাস্তবে আমাজন যে কত বড় সেটা কল্পনা করাও কঠিন। তাদের ব্যবসা পুরো পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। আমাজন কীভাবে এত বিশাল প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠল এবং আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হলো তা আলোচনা করা হবে আজকের আর্টিকেলে।
১৯৯৪ সালে ওয়াশিংটনে অফিশিয়ালি আমাজন তার যাত্রা শুরু করে। জেফ বেজোস শুরুতে একটি গ্যারেজে তারা কাজের যাত্রা শুরু করে। এরপর আস্তে আস্তে তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। ইলেকট্রনিক্স, খেলনা, ফার্নিচার, ফুডস ইত্যাদি পণ্য তাদের হাত ধরে মানুষের কাছে পৌঁছাতে থাকে।
আমাজনের বর্তমান লোগো এর অর্থ প্রকাশ করে যে, এ থেকে জেড পর্যন্ত যেসব ধরনের পণ্য আপনার দরকার তার সবকিছুই আমাজনের কাছে রয়েছে। অর্থাৎ ই-কমার্স ভিত্তিক আপনার সকল চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম আমাজন।
জেফ বেজোস 1998 সালে আইএমডিবি ও বুক পেজ কিনে নেন। 1999 সালে টাইম ম্যাগাজিনে তিনি নিজের জায়গা করে নেন। আমাজন বিজনেস, আমাজন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, আমাজন প্রাইম ইত্যাদির বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে।
ক্লাউড কম্পিউটিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমাজন কাজ করে যাচ্ছে। আমাজন এলেক্সা, আমাজন অ্যাপ স্টোর, আমাজন মিউজিক নামে তাদের সেরা সার্ভিস এখনো চালু আছে।
মাইক্রোসফট এর পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওয়েব সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে আমাজন। বিশ্বের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের এই ওয়েব সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত আছে।
এশিয়ার মধ্যে চীন, ভারত, জাপান, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক; ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্য; উত্তর আমেরিকার মধ্যে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে তারা পুরোদমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
আমাজনের হাতে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় ওয়ার হাউস। প্রায় ১৬ লক্ষ পণ্য তাদের ওয়ার হাউস থেকে প্রতিদিন শিপমেন্ট হয়ে থাকে। বিশ্বজুড়ে তাদের কর্মীর সংখ্যা ৬ লাখের উপরে। আমাজন যে কতটা বড় সেটা বলতে গেলে ভিয়েতনামের ফরেন রিজার্ভের সাথে এটির রাজস্বের তুলনা দেওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভিয়েতনামের ফরেন রির্জাভ থেকে আমাজন প্রায় চার গুণ বড়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।