স্পোর্টস ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
এ জয় পেতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে পিএসজিকে। নিজেদের ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে শুরুতেই গোল হজম করতে হয়েছে তাদের। এরপর লিখতে হয়েছে প্রত্যাবর্তনের গল্প।
বুধবারের ম্যাচে স্বাগতিক দলের দর্শকদের চমকে দিয়ে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় ভিলা। পরে ডেজিরে দুয়ে, কাভিচা কারাতসখেলিয়া ও নুনো মেন্ডেসের গোলে ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় পিএসজি। এতে টানা সাত ম্যাচে জয়ের পর হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হলো ভিলাকে।
শুরু থেকেই মাঠের উপরের দিকের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখে পিএসজি। ভিলাকে একঘরে করে রাখে স্বাগতিকরা। বারবার চাপ তৈরি করতে থাকে। তবে ম্যাচের প্রথম সুযোগেই গোল করে বসে ভিলা।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ভিলার হয়ে গোল করেন মরগান রজার্স। মাঠের মাঝামাঝি নুনো মেন্ডেসের এক ভুল থেকে বল কেড়ে নেন জন ম্যাকগিন। তিনি বল বাড়িয়ে দেন ইউরি টেলেম্যান্সের কাছে। বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ফাঁকা জায়গা দেখে ক্রস দেন রজার্সের দিকে। এরপর ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন রজার্স।
ভিলার লিড যেন মানতেই পারছিল না পিএসজি। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। ফরাসি লিগের সদ্য চ্যাম্পিয়নরা ম্যাচে বলের ওপর আধিপত্য বজায় রাখে। নিয়ন্ত্রিত পাস, কারিগরি নিখুঁততা ও হাই প্রেসিং ফুটবল দিয়ে পুরো ম্যাচের ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে পিএসজি।
৪ মিনিট পরেই পিএসজি সমতায় ফেরে। ১৯ বছর বয়সী ডেজিরে দুয়ে বক্সের প্রান্ত থেকে দারুণ এক বাঁকানো শটে বল ভিলার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের মাথার ওপর দিয়ে পোস্টের নিচে জড়িয়ে দেন।
ফ্রান্সে বরাবরই সমালোচিত ও ভিলেন হিসেবে পরিচিত বিশ্বকাপজয়ী তারকা মার্টিনেজ। এই ম্যাচেও ভক্তদের তীব্র বাঁশি, গালি ও দুয়োর মুখোমুখি হন এ তারকা ফুটবলার। তবে চাপের মধ্যেও তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে ভুলেননি তিনি। পিএসজি তারকা ভিতিনহার নিচু শট ঠেকিয়ে এবং ওসমানে ডেম্বেলের তীব্র হাফ-ভলিকে গোলমুখে আটকে দেন মার্টিনেজ।
বিরতির পর আক্রমণ আরও বাড়ায় পিএসজি। ৪৯ মিনিটে মাঝমাঠে দুর্দান্ত এক পাস থেকে কারাতসখেলিয়া গোল করেন। বল পোস্টে লেগে ভিতরে ঢুকে যায় এবং দলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন জর্জিয়া তারকা।
কাউন্টার অ্যাটাকে আরেকটি গোলের সুযোগ পান পিএসজির আশরাফ হাকিমি। তবে মার্টিনেজ ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটি সেভ করেন।
পিএসজি একটি পেনাল্টি দাবি করে, যা রেফারি নাকচ করেন। এছাড়া হাকিমির একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ভিলার এসরি কনসাকে কাটিয়ে ভিতরে ঢুকেন মেন্ডেস। গোলরক্ষক মার্টিনেজকে সফলভাবে পরাস্ত করেন পর্তুগাল তারকা। ফলে ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করে পিএসজি। হতাশ মার্টিনেজ মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়েন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।