আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের চার নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, চীনের এই চার নাগরিক দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য হয়েও মিথ্যা বলে তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
ভিসা জালিয়াতির মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে তিন চীনা নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে । এছাড়া বাকি আরেকজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। বলা হচ্ছে, চতুর্থ যে চীনা নাগরিক এখনো গ্রেফতার হননি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর চীন দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে অঘোষিত সম্পর্ক থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫টি শহরে চীনা নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
কৌঁসুলিরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে চীনের সেনাবাহিনীর বিজ্ঞানীদের পাঠানোর একটি পরিকল্পনা এটি।
একটি বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অ্যাটর্নি জন সি ডেমার্স বলেন, আমাদের উন্মুক্ত সমাজের ফায়দা লুটা এবং অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অপব্যবহার করার জন্য এটি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আরেকটি পরিকল্পনা।
চীনের একজন বিজ্ঞানী সান ফ্রান্সিসকোর চীনা কনস্যুলেটে আশ্রয় নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণা এবং হিউস্টনে দেশটির কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পর এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটলো। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এসব চীনা বিজ্ঞানী পরিচয় গোপন করে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি চুরি করছে।
এই গ্রেফতারের ঘোষণার আগে বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগকে বিদ্বেষপরায়ন অপবাদ আখ্যা দিয়ে বলেন, চীন অবশ্যই এর প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া জানাবে ।
বাণিজ্য, করোনাভাইরাস মহামারি এবং হংকংয়ে বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ইস্যুতে গত কয়েক মাস ধরে চীনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধ চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।